সুবীর দাস, কল্যাণী: নাম না করে শনিবার রাজ্যপালের উদ্দেশে একাধিক কটাক্ষমূলক মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রবিবার ‘জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি’র সেই কটাক্ষের কথা সাংবাদিকদের কাছ থেকে শোনেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। কল্যাণীতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বিশেষ কিছু বলতে চাননি।
শনিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শিক্ষা সেলের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্রাত্য বসু ক্ষমতা কুক্ষিগত নিয়ে নাম না করে নিশানা করলেন রাজ্যপাল পদটিকে। তাঁর কথায়, ‘‘একটা সাদা হাতির মতো পদ তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রয়োজনে। কিন্তু এখন সেই পদ রাখার কী যৌক্তিকতা আছে? ওই পদে থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন। এটা কবিদের স্থান। রাজভবনেও এক কবি বসে আছেন। কিন্তু তিনি কুমোরের কবি নন, কামারের কবি নন, তিনি রাজার কবি।”
[আরও পড়ুন: ডিভোর্স চাইছিলেন ৮০ বছরের স্বামী, শুনেই গুলি চালিয়ে দিলেন ষাটোর্ধ্ব স্ত্রী]
রবিবার কল্যাণীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। অনুষ্ঠান শেষে তাঁকে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে অবগত করেন। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য জানান। জানতে চান তাঁর প্রতিক্রিয়া। তাতে স্মিত হেসে রাজ্যপালের জবাব, ”সংবিধান অনুযায়ী, উনি আমার সহকর্মী। এসব কথার উত্তর দেব না।”
[আরও পড়ুন: ‘যৌন হেনস্তার কোনও সুযোগ ছাড়তেন না ব্রিজভূষণ’, বিস্ফোরক চার্জশিট পুলিশের]
উল্লেখ্য, এর আগেও শিক্ষামন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল একাধিকবার এমন বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন। কখনও ব্রাত্য বসুকে ‘জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি’ বলে উল্লেখ, কখনও আবার মধ্যরাতে নবান্নে গোপন চিঠি পাঠানোর মতো রাজ্যপালের একাধিক কাজেরই সমালোচনা শোনা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। রাজ্যপালকে তিনিও কখনও ‘ভ্যাম্পায়ার’, কখনও ‘জেমস বন্ড’ বলে খোঁচা দিয়েছেন। তাতে নয়া সংযোজন ‘রাজার কবি’, ‘সাদা হাতি’ মন্তব্য। তবে এর জবাবে রাজ্যপাল কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইলেন না।
দেখুন ভিডিও: