মলয় কুণ্ডু এবং নব্যেন্দু হাজরা: পুজোর আগেই দ্রুত গতিতে রাস্তার খানাখন্দ মেরামত করে ফেলার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে তা শেষ করে ফেলার নির্দেশ গিয়েছে পূর্ত দপ্তরের কাছে। রাস্তা সারাতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, দফায় দফায় বৃষ্টি ও বন্যায় এবার রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনও জেলার বেশ কিছু জায়গায় জল নামেনি। ফলে সেই বিষয়গুলি নিয়েও পূর্ত দপ্তরের বৈঠকে আলোচনা হয়। যেখানে বৃষ্টি থেমেছে সেখানে দ্রুত রাস্তার কাজ যেমন হবে, তেমনই জমা জল সরলেই দ্রুত সেই জায়গাগুলিতেও রাস্তায় খানাখন্দ মেরামতির কাজও চালাবে পূর্ত দপ্তর। তার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: ফের বাম-কংগ্রেস সমঝোতার জল্পনা! উপনির্বাচনে জোট নিয়ে কথা বিমান-অধীরের]
এতদিন রাত ১১টার পর রাজ্যজুড়ে চলছিল রাত্রিকালীন কারফিউ। ১০ অক্টোবর থেকে যা উঠে যাচ্ছে ২০ তারিখ পর্যন্ত। তাই ওই দিনগুলো রাতেও পাওয়া যাবে বাস। যে ১৪টি রুটে নাইট সার্ভিস ছিল সেগুলিতেই বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। রাতে বাড়তি বাস চালাবে বেসরকারি বাসমালিকরাও। তবে পঞ্চমী থেকে তাঁরা ভিড়ের ট্রেন্ড দেখেই বাকি দিনগুলো কত সংখ্যক বাস চলবে তা ঠিক হবে।
পরিবহণ দপ্তরসূত্রে খবর, হাওড়া স্টেশন থেকে বিমানবন্দর, বারাকপুর, বারাসত, কামালগাজি, গড়িয়া, জোকা, বালিগঞ্জ, ডানলপ–বালিগঞ্জ, হাওড়া স্টেশন–করুনাময়ী, শ্যামবাজার–বারাসত, বেলগাছিয়া–এসপ্ল্যানেড এবং হাওড়া স্টেশন–নিউ টাউন মোট ১৪টি রুটে এই নাইট সার্ভিস চলবে। এই রুটগুলোতে রাতে দুই অথবা তিন ট্রিপ করে বাস চলত। কিন্তু পুজোর দিনগুলোয় সেই বাসের ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের আরজি মানলেন রাজ্যপাল, বিধায়ক পদে মমতার শপথগ্রহণ হবে বিধানসভাতেই]
ইতিমধ্যেই ঠিক হয়েছে, রাতে বাড়তি মেট্রো চালানো হবে। সারারাত না চললেও রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। সেই মতো করেই রাতে বাড়ানো হচ্ছে বাস সার্ভিস। তাছাড়া অন্যবারের মতো অটো–ট্যাক্সিও চলবে বলে জানিয়েছেন গাড়ির মালিকরা। তবে গতবছর বাদ দিলে অন্যান্যবার সারারাত যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা থাকে এবার তা থাকছে না। ফলে জেলা বা মফঃস্বলের মানুষের মাঝরাতেও ঠাকুর দেখতে আসার যে অভ্যেস তাতে ইতি পড়বে। ফলে ভিড় কিছুটা কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে কোভিড আবহে ভিড়ের বহর কেমন হয় তা বোঝা যাবে চতুর্থী–পঞ্চমী থেকেই। সেই মতো প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা। পরিষেবা ঠিকঠাক চলছে কিনা তা দেখতে রাস্তায় থাকবেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারাও।