সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: চওড়া হাসি ফুটেছে ফালাকাটা ব্লকের গুয়াবরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুধাংশু বর্মনের মুখে। সোমবার তাঁর অ্যাকাউন্টে কড়কড়ে ১০ হাজার টাকা ঢুকেছে। বেজায় খুশি কোচবিহার দুনম্বর ব্লকের আমবাড়ির বাসিন্দা শ্যামাপ্রসাদ রায়। তাঁর অ্যাকাউন্টেও এদিন ঢুকেছে ২৯৮২ টাকা। ১০২০ টাকা ঢুকেছে বর্ধমানের মেমারি-১ ব্লকের চাঁচাই পাল্লা ক্যাম্পের বাসিন্দা সুখেন দাসের অ্যাকাউন্টে।
সুধাংশু বর্মন, শ্যামাপ্রসাদ রায়, সুখেন দাসের মধ্যে একটাই মিল। এঁরা প্রত্যেকেই একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জন্য এতদিন টাকা পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। অবশেষে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণামতো সবাই টাকা পেতে শুরু করলেন। বকেয়া মজুরি পেয়ে জেলায় জেলায় উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন শ্রমিকরা। কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্যের কোষাগার থেকে শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছে নবান্ন। এক এক করে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে থাকে টাকা। মোবাইলে আসতে থাকে মেসেজ। যা দেখে যারপরনাই খুশি টাকা প্রাপকরা। কেউ জানালেন, ‘‘অনেকদিন ধরে এই টাকা আটকে ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর পঞ্চায়েতের ক্যাম্পে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করেছিলাম। বকেয়া টাকা পেয়ে ভালো লাগছে।’’
[আরও পড়ুন: স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে পুলিশ! বর্ধমান থানার সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর]
[আরও পড়ুন: রাতারাতি ভাগ্যবদল! ৩০ টাকায় কোটিপতি বীরভূমের চাওয়ালা, সটান হাজির থানায়]
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫৩ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারকে টাকা দেওয়া হবে। জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, বাজেটে একশো দিনের বদলে ৫০ দিনের কাজের নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ১ মার্চ উপকৃতদের নিয়ে সরকারি সভা করার ব্যাপারেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি চালাতে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথনের নেতৃত্বে আট সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করে দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর।