shono
Advertisement

৩ মাসে বানাতে হবে সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি, আবাস যোজনা নিয়ে কড়া রাজ্য

আবাস যোজনা নিয়ে গাইডলাইন দিল নবান্ন।
Posted: 09:31 PM Jan 02, 2023Updated: 09:33 PM Jan 02, 2023

নব্যেন্দু হাজরা: আগামী তিন মাসের মধ্যে আবাস যোজনায় প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি হবে বাংলায়। সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে সেকথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে হবে।

Advertisement

জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রত্যেক ব্লকে একটি করে কন্ট্রোল রুম খুলতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে। বাড়ি তৈরি সংক্রান্ত যাবতীয় অস্পষ্টতা দূর করতে উপভোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্টেক হোল্ডারদের ই-প্রশিক্ষণ, ইট প্রস্তুতকারক এবং যারা সরবরাহ করবেন, তাদের সঙ্গেও দিনকয়েকের মধ্যে বৈঠক করে রূপরেখা সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

[আরও পড়ুন: ‘আমার হাত ধরে ওর অন্তর্বাসে ভরে দেয় দানি!’, ব্রাজিলীয় তারকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তরুণী]

আবাস যোজনায় গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন সংগ্রহ করেছে সরকার। সেই সব আবেদন স্ক্রুটিনি ও ভেরিফিকেশনের পর চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়েছে। মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ তথা বর্তমান আর্থিক বছরের মধ্যেই ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বানানোর কাজ সেরে ফেলতে হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১০ লক্ষ ১৯ হাজার জনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মানে শতাংশের হিসাবে ৮৯ শতাংশ। অনুমোদন দেওয়ার দিন থেকে চল্লিশ দিনের মধ্যে জানালা পর্যন্ত গাঁথনি করে ফেলতে হবে। তার আরও ৩৫ দিনের মধ্যে লিন্টেল পর্যন্ত গাঁথনি সেরে ফেলতে হবে উপভোক্তাদের। এর ১৫ দিন পর বাড়ির কাজ দেখতে ভেরিফিকেশনের জন্য যাবে সরকারি টিম।

নবান্নের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, আবাস প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তবে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কোচবিহার জেলায়। কোচবিহারে ১ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশি পরিবারকে এরমধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। সেখানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার বাড়ি বানানোর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সরকার প্রতিটি ধাপে কীভাবে নজরদারি চালাবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট গাইডলাইন দিয়েছেন মুখ্যসচিব। শুধু তাই নয়, উপভোক্তারা কীভাবে তাঁদের বাড়ি বানাবেন, কোনও অসুবিধা হলে কোথায় সাহায্য পাবেন সে ব্যাপারেও গোড়াতেই তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: বছরের পর বছর সরকারি হাসপাতালে গরহাজির ২৫২ ডাক্তার, কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্যদপ্তরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement