সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ বন্ধ ডেকেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই ধর্মঘট ঠেকাতে কড়া রাজ্য় সরকার। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হল। ১০ মার্চ ছুটি নিলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সার্ভিস ব্রেক হবে। এমনকী, কাটা যাবে বেতনও। এমনকী, শোকজও করা হবে অনুপস্থিত কর্মচারীদের। শোকজের জবাব না দিলে কড়া পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের যৌথমঞ্চ। একই ইস্যুতে ১০ তারিখ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট ডেকেছে তারা। কিন্তু সরকারি পরিষেবা অব্য়াহত রাখতে মরিয়া রাজ্য সরকারও। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বন্ধ নিয়ে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন। সতর্ক করেন তাঁদের। বৈঠকে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার-সহ পুলিশের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ‘কুন্তলের সঙ্গে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা, গাড়ি কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলেন’, ইডি দপ্তরে বললেন বনি]
এদিকে শুক্রবার সমস্ত কর্মচারীকে সকাল ১১টার মধ্য়ে অফিসে হাজির হতে হবে। দিনের কোনও এক অর্ধও অনুপস্থিত থাকা চলবে না। একমাত্র যদি কোনও কর্মচারী হাসপাতালে ভরতি থাকেন, কিংবা তাঁর বাড়ির কারওর মৃত্যু হলে, অথবা ৯ মার্চের আগে থেকে যদি কোনও কর্মচারী অনুপস্থিত থাকেন বা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকলে ১০ মার্চ হাজির হতে হবে না অফিসে।
এদিকে যৌথমঞ্চের ডাকা ধর্মঘট বানচাল করতে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল কর্মচারী সংগঠন। বৃহস্পতিবার টিফিন টাইমে সল্টলেকে মিছিল করেছে সংগঠনের সদস্যরা। এদিন সংগঠনের ইনচার্জ মানস ভুঁইঞা জানান, আমাদের ভাইবোনদের কাছে আবেদন, কাল টেবিল-চেয়ারে থাকুন। ফাইলে স্বাক্ষর করুন। সরকারি পরিষেবা যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়।” তাঁর কথায়, “যারা ডিএ চাইছেন তাদের উচিত দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান করুক। আর কেন্দ্রকে বলুক, বাংলার পাওনা মেটাতে, নাহলে দিল্লির রাস্তায় মিছিল করব।”