স্টাফ রিপোর্টার: বাড়ির আশপাশে ময়লা জমে। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি? এবার সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে। নতুন হেল্পলাইন নম্বর (Helpline Number) চালু করছে পুর নগরোন্নয়ন দপ্তর। রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে নোটিস এসে গিয়েছে। দপ্তরের ‘ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ মনিটরিং সিস্টেম’ ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমেই নজরদারি চালানো হবে।
কেন যুদ্ধকালীন তৎপরতা? রাজ্যের ৪৩টি এলাকাকে মশার মুক্তাঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া, বসিরহাট, বনগাঁ, উত্তরপাড়া, নৈহাটি, মহেশতলা, মধ্যমগ্রামের মতো এলাকা। কলকাতা সংলগ্ন নিউটাউনও রয়েছে এই তালিকায়। এই জায়গাগুলিতে ২০২১ সালে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত মিলেছিল। ৮৩টি এমন জায়গাও রয়েছে যেখানে ডেঙ্গুর এতটা বাড়বাড়ন্ত না হলেও খুব চিন্তামুক্তও নয়। এগুলিতে ডেঙ্গুর (Dengue) বাড়বাড়ন্ত মাঝারি। দুই এলাকার জন্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর জারি করেছে পুর নগরোন্নয়ন দপ্তর।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার ‘শাস্তি’, ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ল স্বামী]
ঠিক হয়েছে, ডেঙ্গু নির্মূল করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকবেন পাঁচজন। এর মধ্যে তিনজনের কাঁধে দায়িত্ব মশার লার্ভা নিধনের। পুরো কাজ নজরদারি করবেন একজন হেলথ সুপারভাইজার আরও এক কনজারভেন্সি সুপারভাইজার। একেক দিন ন্যূনতম ৬০টি করে বাড়িতে যেতে হবে ‘টিম’কে । এই টিমের মাথায় থাকবেন ভেক্টর কন্ট্রোল মনিটরিং অফিসার। তিনিই দেখভাল করবেন সম্পূর্ণ বিষয়টি। এতদিন কনজারভেন্সি টিম পুরো ডেঙ্গু নিধনের কাজ করত। এবার তাদের কাজ পরিদর্শন করতে নিয়োগ হচ্ছে নতুন সুপারভাইজার। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক ডা.অনির্বাণ দলুই জানিয়েছেন, মশাবাহিত সংক্রামক রোগগুলোর ক্ষেত্রে ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু প্রশাসন নয়, সাধারণ মানুষের দায়িত্বও অনেক।
ফি সপ্তাহের ডেঙ্গু নিধনযজ্ঞের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পালস মোড ক্লিনলিনেস অ্যাক্টিভিটি’। বাড়ি বাড়ি ঘুরবেন ‘মহিলা আরোগ্য সমিতি’। বাড়িতে কারও জ্বর হলে ডেঙ্গু টেস্টের নিদান দেবেন তাঁরাই। পুর নগরোন্নয়ন দপ্তরের অনুমতি ব্যতিত এই ‘টিম’কে বদলানো যাবে না কোনওভাবেই। ১৪ মার্চ থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান। দপ্তর সূত্রে খবর, সপ্তাহে পাঁচদিন চলবে এই ডেঙ্গু নিধন যজ্ঞ।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে চাঞ্চল্য, ভাইরাল নিহতের ভাইপোর সঙ্গে IC’র কথোপকথন!]
সোম থেকে বুধবার চলবে বাড়ি-বাড়ি পরিচ্ছন্নতা। বৃহস্পতিবার ওয়ার্ডের হেলথ অফিসার, স্যানিটারি ইনসপেক্টরের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কর্মীরা। শুক্রবার মিলিটারি কায়দায় ‘মপ আপ’ ড্রাইভ। জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত সবচেয়ে বেশি। ওই সময় ফি মাসে চার রাউন্ড করে চলবে ডেঙ্গু নিধন যজ্ঞ। অক্টোবরের জন্য ফের দু’রাউন্ড।