নব্যেন্দু হাজরা: একটানা ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। এর মাঝেই জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। যার জেরে একাধিক জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছাড়া হচ্ছে বলে জানাল নবান্ন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লাগাতার বৃষ্টি, ডিভিসির জল ছাড়া ও ভরা কোটালের জেরে দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নবান্নের বার্তা, আতঙ্কিত হবেন না। সতর্ক থাকুন।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। জেলায়-জেলায় ভারী বৃষ্টি চলছে। এর মধ্যে শনিবার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি। আরও ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে তারা। ফলে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এদিন বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে এবং ডিভিসিও রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রচুর জল ছাড়ছে। আগামী ৫-৬ তারিখে ভরা কোটাল রয়েছে। বিশেষ করে হাওড়া, হুগলি, উদয়নারায়ণপুর, গোঘাট, আমতা প্রভৃতি অঞ্চলকে ডিভিসির জল ছাড়ার সঙ্গে এই ভরা কোটাল প্লাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই রাজ্য সরকার সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করছে।"
[আরও পড়ুন: তাজপুরে উচ্ছেদ অভিযানে ‘বাধা’, মন্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ালেন সরকারি আধিকারিকরা]
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরের আলিপুরদুয়ারেও রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আগামী চার-পাঁচদিন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার-সহ একাধিক এলাকায় হড়পা বান, জলস্ফিতীর আশঙ্কা থাকছে। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে রয়েছে। ২৪X৭ মুখ্যসচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা করছেন। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন মমতা।
এদিকে আগামী কয়েক দিনে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে ডিভিসি। এর ফলে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। যা নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। অনুরোধ করা হয়েছে যাতে এই জল একতরফাভাবে একসঙ্গে না ছাড়া হয়। বদলে অল্প অল্প করে জল ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ, "আতঙ্কিত হবেন না। সতর্ক থাকুন। বিশেষ করে ৫-৬ তারিখ সতর্ক থাকুন।"