সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তপ্ত সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আসল ‘সন্দেশ’ নিতে কেরল সফর কাটছাঁট করে ছুটে এসেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। সোমবার কেরল থেকে কলকাতা ফিরেই সোজা সন্দেশখালির পথে রওনা হন তিনি। কিন্তু মাঝপথে বাধা পেলেন। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটানোর দাবিতে মিনাখাঁর বামনবাজারের কাছে তাঁর কনভয় আটকানো হল। কালো পতাকা, প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। ফলে বেশ কিছুক্ষণ আটকে পড়েন তিনি।
যদিও তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি পুলিশের। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সন্দেশখালি যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। গিয়েছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে মিনাখাঁয় (Minakha) বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজ্যপালের সামনেই এসব ঘটে। গ্রামবাসীদের অবরোধের মুখে পড়ে রাজ্যপালের কনভয়। বেশ কিছুক্ষণ আটকে ছিলেন তিনি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যায় রাজ্যপালের গাড়ি।
[আরও পড়ুন: আরও কাছাকাছি! আরামবাগে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী দেব]
গত সপ্তাহ থেকেই শাহজাহান বিরোধী বিক্ষোভে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। তাঁকে এবং তাঁর অনুগামী শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারদের গ্রেপ্তারির দাবিতে মহিলারা বিক্ষোভে শামিল। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচারের মতো একাধিক অভিযোগে তোলপাড় এলাকা। এরই মধ্যে উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল (TMC)। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ কমছে না।
[আরও পড়ুন: পুরনোতেই আস্থা, রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য]
এসব শুনে তড়িঘড়ি রাজ্যপাল কেরল (Kerala) থেকে চলে আসেন। জানান, কেরলে বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে সপ্তাহব্যাপী উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এসব শুনে ফিরে আসেন। সন্দেশখালির আসল ‘সন্দেশ’ কী, তা জানতে তাঁর ফেরা। সোমবার সকালে সেখান থেকে ফিরেই সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু মাঝপথে তাঁর কনভয় আটকে পড়ল বিক্ষোভের মুখে।