সুদীপ রায়চৌধুরী: আর জি কর কাণ্ডের আবহে নারী ও শিশুদের সুরক্ষার স্বার্থে 'অপরাজিতা' বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়। আইনে পরিণত করার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল সইয়ের জন্য। কিন্তু বিলে 'টেকনিক্যাল' ত্রুটি রয়েছে, এই যুক্তিতে তা সই করেননি সিভি আনন্দ বোস। এনিয়ে শুক্রবার সকালে নবান্ন-রাজভবনের মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়। তবে বিকেলেই সেই 'টেকনিক্যাল রিপোর্ট' হাতে এসেছে রাজ্যপালের। আর তার পরই তা পাঠানো হল রাষ্ট্রপতির দরবারে। রাজভবনের তরফে সোশাল মিডিয়া পোস্টে এই খবর জানানো হয়েছে।
X হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্ট করা হয়েছে রাজভবনের মিডিয়া সেলের তরফে। তাতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি রাজভবনে গিয়েছিলেন। এর পরই রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয় টেকনিক্যাল রিপোর্ট। তা খতিয়ে দেখে বিলটি রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়ে দেয় রাজভবন। পাশাপাশি, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিলের ক্ষেত্রে ত্রুটি কেন রইল, রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশে সেই প্রশ্নও তুলেছে রাজভবন।
[আরও পড়ুন: নেকড়ে আতঙ্কে স্তব্ধ জনজীবন, ‘নরখাদক’ মারতে ১৮ শার্পশুটার উত্তরপ্রদেশে]
গত মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় ধর্ষণবিরোধী 'অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল' পেশ করা হয়। বিজেপি এনিয়ে বিরোধিতা করেনি। ফলে তা পাশ হয়ে যায়। ওইদিন বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিধায়কদের অনুরোধের সুরে বলেন, ''রাজ্যপালকে বলুন যাতে বিলে দ্রুত সই করে দেন।'' এই গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজভবনের স্বাক্ষর না মিললে ধরনায় বসার কথাও বলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি আর জি কর আবহে জনতার চাপের মুখে পড়ে তৎপর হল রাজভবন। জটিলতা কাটিয়ে বিলটি দ্রুত পাঠানো হল রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি সই করলে তবে তা আইনে পরিণত হবে। উল্লেখ্য, হাওড়া কর্পোরেশন বিল, গণপিটুনি বিরোধী বিল-সহ একাধিক জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিলে এখনও সই করেননি সিভি আনন্দ বোস।