বাবুল হক, মালদহ: কী কারণে গোটা নভেম্বর (November) মাসজুড়ে পাহাড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়? বারবার সেই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর জল্পনা। তবে শনিবার সেই জল্পনার খানিকটা অবসান ঘটালেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। ঠিক কী কারণে পাহাড় সফর তা ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
শনিবার সকালে পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। টুইটেই সেকথা জানিয়েছিলেন। পাহাড়ের বাসিন্দা এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাত করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। তবে তাতেও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন কমেনি এতটুকু। দুপুরের দিকে মালদহে ট্রেন থেকেই পাহাড় সফরের কারণ নিজে মুখে ব্যাখ্যা করলেন তিনি। ধনকড় বলেন, “কলকাতার পাশাপাশি দার্জিলিংয়েও আমার কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকেই কয়েকদিন কাজ করতে যাচ্ছি। পাহাড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পাহাড়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলব। এর মধ্যে অন্য কারণ খুঁজবেন না।” এছাড়াও এদিন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেন। তবে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় নাম না করে রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের খোঁচাও দেন। অনুরোধের ভঙ্গিমায় তিনি বলেন, “হাতজোড় করে বলছি প্রশাসনিক আধিকারিকরা মানুষের জন্য কাজ করুন। রাজনৈতিক দলদাস হয়ে যাবেন না।”
[আরও পড়ুন: সৌমিত্র খাঁকে থানায় ঢুকতে বাধা, নাবালকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বন্ধ ঘিরে রণক্ষেত্র মল্লারপুর]
এই প্রথমবার নয়। রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন। পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। সুর চড়িয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধেও। পালটা রাজ্যপালকে নবান্নের তরফে পত্রবোমা পাঠানো হয়েছে। কিংবা কখনও নবান্ন থেকে নাম না করে রাজ্যপালকে একহাতও নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রায় বেশিরভাগ সময়ই রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত চলতেই থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন ধনকড়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছেন। এদিকে আবার সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছেন ‘ফেরার’ বিমল গুরুং। তারই মাঝে গোটা মাসব্যাপী দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রাজ্যপালের থাকার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যবহ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও তাঁর সফরের ‘অন্য কারণ’ না খোঁজার কথাই বলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।