অভিরূপ দাস: অত্যন্ত খারাপ পরিকাঠামো। দেখা নেই চিকিৎসকের। কোনও প্রোটোকল না মেনে খেয়াল খুশি মতো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের অন্যতম কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করে আতঙ্কে স্বাস্থ্য ভবনের ‘টিম’। জিএনআরসি হাসপাতালের সুপারকে শোকজ করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয়কুমার চক্রবর্তী।
গত ৬ জুলাই স্বাস্থ্য ভবনের একটি ‘টিম’ পরিদর্শন করে বারাসতের ওই বেসরকারি হাসপাতালটি। সেখানকার পরিস্থিতি দেখেই চক্ষু চড়কগাছ। আর্টারিয়াল ব্লাড গ্যাস টেস্ট বা এবিজি মেশিনের সূচক ঠিকমতো কাজ করছে না। একেক সময় একেক ফলাফল আসছে। করোনা রোগীদের জন্য যে নির্দিষ্ট অক্সিজেন দেওয়ার প্রোটোকল রয়েছে তাও মানছেন না কেউই। হাসপাতালে একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বারাসতের ওই হাসপাতাল ঘুরে মাইক্রোবায়োলজিস্টের দেখা মেলেনি।
এখানেই শেষ নয়, ব্লাড টেস্ট, ইলেকট্রোলাইট, কিডনি কার্যকারিতার মতো অতি সাধারণ পরীক্ষা করতে এসেও রিপোর্ট পেতে কালঘাম ছুটছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের শোকজ নোটিসে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সামান্য টেস্ট করতেই যদি এত সময় লাগে সংকটজনক রোগী এলে কী করবে হাসপাতাল?
[আরও পড়ুন: কোভিডে মৃত্যু ডাক্তারের, ‘করোনা শহিদে’র সম্মান চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মৃতের স্ত্রীর]
পিটি এপিটিটির মতো রক্তের সাধারণ পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও নেই ওই হাসপাতালে। প্রতিদিন ডেইলি রাউন্ডে কোন কোন চিকিৎসক আসেন স্বাস্থ্য ভবনের ‘টিম’-কে তারও কোনও তালিকা দেখাতে পারেনি হাসপাতাল। এমনকি হাসপাতালে যদি কোনও করোনা রোগীর অবস্থা সংকটজনক হয়ে পরে তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও কুইক রেসপন্স টিম চোখে পড়েনি স্বাস্থ্য ভবনের। ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। কিছু ঘরের অবস্থা এমনই যার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে যেকোনও মুহূর্তে। উত্তর ২৪ পরগনায় যেখানে রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কিভাবে এত উদাসীন রয়েছে এই হাসপাতাল? তারই জবাব তিনদিনের মধ্যে তলব করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
[আরও পড়ুন: একদিনে সংক্রমিত হাজারেরও বেশি, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরল ২৫ হাজারের গণ্ডি]
The post ডাক্তার নেই, পরিকাঠামোর অভাব, বারাসতের কোভিড হাসপাতালের সুপারকে শোকজ appeared first on Sangbad Pratidin.