অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের বাংলার যুবকের মৃত্যু। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ফাজিলপুরের ইমরান হোসেন মহারাষ্ট্রে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বরফ কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ যায় তাঁর। ছেলের মৃত্যুসংবাদ বাড়িতে পৌঁছনোর পরই এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
নিহত যুবক ইমরান হোসেন, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ফাজিলপুরের বাসিন্দা। কখনও ঠিকা শ্রমিক, আবার কখনও দিনমজুরি করতেন ওই যুবক। সে কাজের মাধ্যমে সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব। সংসারের অভাব দূর করতে মহারাষ্ট্রে কাজ নিয়েছিলেন ইমরান। বরফ কলে কাজ করতেন তিনি। শনিবার সন্ধেয় মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে ওই বরফ কলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ইমরানের মৃত্যু হয়। পরিবারের কাছে খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ইমরানের বৃদ্ধ বাবা-মা।
[আরও পড়ুন: খোলা বাজারের থেকেও বেশি দামে ভোজ্য তেল বিক্রি করতে হচ্ছে রেশনে! ক্ষুব্ধ ডিলাররা]
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মহারাষ্ট্রে গিয়ে পৌঁছয় বাঙালি পরিযায়ী সংগঠনের নেতৃত্ব বাসির হোসেন ও হেদায়েতুল্লাহ। বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের জেরে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরির ওই বরফ কল কর্তৃপক্ষ মৃত যুবকের পরিবারকে ১১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। এদিকে, খবর পেয়ে শনিবার রাতেই নিহত যুবকের বাড়িতে পৌঁছন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ। যুবকের শোকস্তব্ধ পরিবারকে সমবেদনা জানান। নিহতের পরিজনদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
গত বৃহস্পতি মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরির বরফ কলে কাজ করতে গিয়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তারপরই ইমরানের মৃত্যুতে নেমেছে শোকের ছায়া। মাসছয়েক আগে কর্ণাটকে কাজ করতে গিয়ে দেগঙ্গার ফাজিলপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ছয় যুবকের গ্যাস বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়লেন ফাজিলপুরের বছর একুশের ইমরান হোসেনের।