স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের ৪৫তম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল অনুমোদিত হল বিধানসভায়। আর এই বিলের আলোচনাতেই ফের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বললেন, "আজ চারটে সই করছেন, কাল করছেন না। এটা শিশুসুলভ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন পিছিয়ে যাচ্ছে।"
উল্লেখ্য, বিল বিধানসভায় অনুমোদিত হলেও রাজ্যপাল সই না করায় আটকে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ বারবার করছে রাজ্যের শাসকদল। উপাচার্য নিয়োগে প্রথমে ছয়জন, পরে চারজন আর এদিন আরও একজনকে নিয়োগপত্র তুলে দেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। তাতেই গড়িমসির প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতেই ব্রাত্যর মন্তব্য, যত দ্রুত শেষ হয় ততই রাজ্যের মঙ্গল। তিনি স্পষ্ট বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্যের রাজনীতি করেন। কেউ কেউ ফুলের ভাষা বোঝেন না, তরবারির ভাষা বোঝেন। গোলাপ ফুল থেকে সরষে ফুল, আমরা ফুলের রাজনীতিই করব। ফুল ফর দি 'ফুল' (fool)।" এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণব ঘোষকে ডেকে নিয়োপত্র তুলে দেওয়া হয় রাজভবনে। ব্রাত্য শিক্ষকমহলের বড় অংশের সঙ্গে একমত হয়েই পরে বলেন, "একসঙ্গে সব ক'টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে স্বাক্ষর করা উচিত রাজ্যপালের। অন্তত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আমি সেটাই বুঝেছি। সুপ্রিম কোর্ট পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রীর উপর ছেড়েছে। তারপরও রাজ্যপালের যদি ভিন্ন মত থাকে তবে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।"
এদিনই দি ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিল, ২০২৪ অনুমোদিত হয়। বিজেপির শংকর ঘোষ কিছু আপত্তি তুলে সংশোধন চান। তবে মন্ত্রীর বক্তব্যের সময়ই 'পারিবারিক সমস্যা'র কথা বলে তিনি অধিবেশনকক্ষ ত্যাগ করেন। তৃণমূলের দেবাশিস কুমার বলেন, "এই প্রথম কলকাতায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ভবানীপুরে হওয়ায় আরও গর্ব আমাদের।" মন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সদর কার্যালয় হবে ভবানীপুরের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে। ৪.২২ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে টালিগঞ্জের বি এল শাহ রোডে। তাঁর মন্তব্য, "ভাষার দিক থেকে সংখ্যালঘু কলেজের এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের নজির অন্য রাজ্যে নেই। গুজরাত-উত্তরপ্রদেশ পারেনি।"