বাবুল হক, মালদহ: একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণে কার্যত অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো হেভিওয়েটরা। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্যে জোর শোরগোল। তৃণমূলে কয়েকজন ‘কুলাঙ্গার’ আছে বলেই দাবি তাঁর। কাকে নিশানা করলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী, উঠছে প্রশ্ন।
মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “আপনাদের বলব আমাদের ভুল বুঝবেন না। আমরা যা করি আপনাদের জন্যই করি। কেউ যদি কোনও দোষ করে তাহলে সে তার দোষের ভাগীদার হবে। তার শাস্তি হোক। আজকে যেভাবে সিবিআই-ইডি দিয়ে সারা রাজ্যে হেনস্তা করা হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলেছি। কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে সে শাস্তি পাবে। আমার বাড়িতে যদি কেউ কুলাঙ্গার ছেলে বেরিয়ে যায়, পুলিশ যদি গ্রেপ্তার করে, তাহলে বাপ-মা কী করবে? বাপ-মা শাসন করার পরেও একটা কুলাঙ্গার ছেলে বেরিয়ে যাচ্ছে। শাসন করেও হচ্ছে না। ঠিক তেমনই আমাদের পার্টিতেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে আছে। যে পাপ করবে তাকে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। তার জন্য দল দায়ী নয়।”
[আরও পড়ুন: WB Weather Update: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! কালীপুজো-ভাইফোঁটায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানাল হাওয়া অফিস]
সাবিনা আরও বলেন, “আমাদের কী দল বলেছে তোমরা চুরি করো। কেউ একজন দাঁড়িয়ে বলুন কোনও টাকাপয়সা নিয়েছি। হ্যাঁ এসেছি, চা-টা খেয়েছি। টাকার বিনিময়ে আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে কাজ করিনি। আমি টাকা চাইলে আপনি ছাড়বেন কেন? দল কখনই বলেনি টাকার বিনিময়ে তোমরা কাজ করো। যদি কেউ টাকার বিনিময়ে কাজ করে তাহলে সে দায়ী। একটা টাকাও কাউকে দেবেন না। আমাদের সরকার অনেক সুবিধা করে দিয়েছে। দুয়ারে সরকার করে দিয়েছে। যেখানে গেলেই দাঁড়িয়ে কাজ হবে। সেখানে আপনারা যাবেন।”
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পর থেকে একে একে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল এবং সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির জালে ধরা পড়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি কারও বিরুদ্ধে দলের তরফ থেকে তেমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কী তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকা নেতা-মন্ত্রীদেরই নিশানা করলেন সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী? তাঁর মন্তব্য নিয়ে শুরু জোর কাটাছেঁড়া।