গোবিন্দ রায়: মনোনয়নে অশান্তি, প্রাণহানির সাক্ষী ভাঙড় ও বসিরহাট। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও এই দুই জায়গায় প্রার্থীদের মনোনয়নে (Panchayat Vote 2023) নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ব্যর্থ বলেই অভিযোগ। বিরোধীদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার ভাঙড় ও বসিরহাটে অশান্তির ঘটনায় রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
বিরোধীদের দাবি, বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের নির্দেশের পর ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই গুলিতে খুন হন এক আইএসএফ প্রার্থী। আরও কয়েকজন জখম হন। একজন দুষ্কৃতীর বন্দুকে গুলি শেষ হয়ে যায়। তাই তাকে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, ওই দুষ্কৃতী শওকত মোল্লার নাম উল্লেখ করে। সে দাবি করে, শওকতই তাকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল। এছাড়া বিরোধীদের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ১, ন্যাজাট, মিনাখা, হাড়োয়া ব্লকে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বলেও অভিযোগ। হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও বসিরহাটে বিডিও কার্যালয়ে আটকে নথি ছিঁড়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘কীসের ভিত্তিতে এত কথা?’, রাজ্যপালের পঞ্চায়েত বিবৃতিতে ‘রাজনীতি’ দেখছে তৃণমূল, তোপ বিরোধীদের]
বিরোধীদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, “এটা শুধু রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এমন কোনও ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত করে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে। আমার আশা ছিল ভাঙড় থানা অন্তত এফআইআর করবে। অথচ এটা কী হচ্ছে? আদালতের নির্দেশে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পুলিশ ব্যর্থ নিরাপত্তা দিতে।” এরপরই বিচারপতি মনোনয়নে ভাঙড় ও বসিরহাটে অশান্তির ঘটনায় রিপোর্ট তলব করে হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশের পরেও কেন পুলিশ মনোনয়নে সহযোগিতা করল না, তা জানাতে হবে ওই রিপোর্ট। এমনকী কেন ওই পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, সেকথাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।