সুদীপ রায়চৌধুরী: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্বও (Nomination)। কিন্তু কমিশন শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নের আবেদনরপত্র তোলার কথা জানালেও বাস্তবে দেখা গেল, অনেক জেলাতেই বিডিও অফিসে সময়মতো মিলছে না ফর্ম। যার জেরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও চলে। কিন্তু কী কারণে ফর্ম অমিল, তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়েও প্রাথমিক প্রস্তুতি সেরেছে কমিশন। বাহিনী বিন্যাস নিয়ে রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) তত্ত্বাবধানে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক, এমনটাই দাবি বিরোধীদের। এই মর্মে আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছে। যদিও এই বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরই ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এখন কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরনো বিন্যাস অনুযায়ী থাকছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বুথের সংখ্যা বেড়েছে, তাই নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাটাও স্বভাবতই বাড়বে। রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে প্রত্যেক বুথেই। ভোটার লাইন ঠিক করার দায়িত্বে থাকবে লাঠিধারী পুলিশ। পাশাপাশি থাকছে কুইক রেসপন্স টিমও (QRT)।
[আরও পড়ুন: Panchayat Election: প্রার্থী দিতে না পারলে বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন! ভোট ঘোষণার পরই জেলাস্তরে কৌশল বিজেপির]
সূত্রের খবর, সেক্টর অফিসেও থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সশস্ত্র ও লাঠিধারী পুলিশ। প্রত্যেক বুথেই সিসিটিভি-তে নজরদারি পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে নেটওয়ার্কের সমস্যা আছে সেখানে গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করার ব্যবস্থা করা হবে বলে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই মুহূর্তেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে না বলেই ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। একান্ত প্রয়োজন পড়লে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে সেই রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে আনা হবে।
[আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের মাঝেই সুখবর, রবিবারই উত্তরবঙ্গে ঢুকবে বর্ষা!]
মনোনয়নের ফর্ম তোলার প্রথম দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রার্থীরা ফর্ম পাননি বলে অভিযোগ সরব হয়েছেন। তা পৌঁছেছে কমিশনের কানেও। এনিয়ে পদ্ধতিগত সমস্যার কথা তুলে ধরলেন কমিশনার রাজীব সিনহা। তাঁর বক্তব্য, এই ফর্ম ডাউনলোড করা যায় না। ডিসিআরের (DCR) মাধ্যমে আবেদনপত্র তুলতে হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘোষণার পর সন্ধে থেকেই জেলায় জেলায় তা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু বিডিও অফিসগুলিতে সেসময় কেউ ছিলেন না। তাঁদের বলা হয়েছিল, শুক্রবার সকালে তাড়াতাড়ি এসে কাজে হাত লাগাতে। কিন্তু তাঁরা আগে অফিসে না আসায় ডিসিআর গুছিয়ে রাখতে দেরি হয়। আর তাতেই যত বিপত্তি। কমিশনের আশা, শনিবার থেকে মনোনয়ন তোলা এবং জমা দেওয়ার কাজ অনেকটা মসৃণ হয়ে যাবে।