নন্দন দত্ত, সিউড়ি: “দাদার শেখানো টেকনিকেই ভোট হবে”, এমনই দাবি করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের শেষে যেন সেকথাই প্রমাণিত হল। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গড়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই হাজারেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (WB Panchayat Poll) অনুব্রত গড়ে তৃণমূলের ফলাফল ছিল চমকপ্রদ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪২টি জেলা পরিষদ জয় করেছিল শাসকদল। ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৬৫টি নিজেদের দখলে রেখেছিল তারা। ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতিতে ফুটেছিল ঘাসফুল। সেই সময় অনেকেই বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল রীতিমতো জোরজুলুম করে ভোট করেছেন। তবে এখন অনুব্রত বীরভূমে নেই। তিনি গরু পাচার মামলায় বর্তমানে তিহাড় জেলবন্দি। তা সত্ত্বেও অনুব্রতহীন বীরভূমে অব্যাহত জয়ের ট্র্যাডিশন।
[আরও পড়ুন: ভরতি নিয়ে আলোচনার মাঝে আক্রমণ! অভিভাবকদের পাথরের ঘায়ে মাথা ফাটল প্রধান শিক্ষকের]
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, বীরভূমে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ২ হাজার ৮৫৯। তার মধ্যে ৮৯৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৪৯০। ১২৮টি আসনে ফুটেছে ঘাসফুল। জেলা পরিষদের ৫২টি আসনের মধ্যে ১টি ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দখলে। গত বছরের আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত। তারপর থেকে রাজনৈতিক মহলে বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা কম হয়নি।
নিজের কাঁধেই বীরভূমের সাংগঠনিক দিক দেখভালের দায়িত্ব তুলে নেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করেছিলেন কোর কমিটি। সেই অনুব্রতহীন বীরভূমেই তৃণমূলের জয়জয়কারে কার্যত অবাক বিরোধীরা। তৃণমূলের দাবি, উন্নয়নই যে ভোটে জয়ের মূল মাপকাঠি তা প্রমাণ হল আরও একবার।
দেখুন ভিডিও: