দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কোচবিহার থেকে ফিরেই বাসন্তীর উদ্দেশে রওনা দেন। গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরেন। তা সত্ত্বেও নিহত তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লার বাড়িতে যাওয়া হল না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। পরিবারের দাবি, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছতে দেননি। যদিও পরে বিকেলের দিকে ক্যানিংয়ের সেচদপ্তরের গেস্ট হাউসে জিয়ারুলের মেয়েকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। সেখানেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এই ঘটনায় এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে।
সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শিয়াদহ স্টেশনে পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখান থেকে সড়কপথে সরাসরি ক্যানিংয়ে সেচদপ্তরের গেস্ট হাউসে পৌঁছন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের বাসন্তীর উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। পথে এক প্রৌঢ়ার সঙ্গে দেখা হয়। কাঁঠালবেড়িয়ায় স্থানীয় কয়েকজন কচিকাঁচার সঙ্গে দেখা হন। শিশুদের হাতে তুলে দেন লাড্ডু।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: আরজি মেনে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, হাই কোর্টে জানাল কমিশন]
এভাবেই বাসন্তীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান রাজ্যপাল। রাজনৈতিক হিংসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা ঠিক যে জায়গায় খুন হয়েছিলেন, সেই ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন তিনি। তবে জিয়ারুল মোল্লার বাড়ি যাওয়া হয়নি রাজ্যপালের। যাঁর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন সেই তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কেন দেখা করলেন না রাজ্যপাল? যদিও এ বিষয়ে রাজ্যপাল সূত্রে কিছুই জানা যায়নি।
তবে এ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেন নিহত জিয়ারুল মোল্লার মেয়ে মানোয়ারা। তাঁর দাবি, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের বাড়িতে আসতে দেয়নি রাজ্যপাল। কারণ, তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপালের দেখা হলে কোনও গোপন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। প্রকৃত সত্য ধামাচাপা দিতেই রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। পুলিশি তদন্তের উপরেই আস্থা হারিয়েছেন নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে। তিনি জানান, “৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও কিছুই করতে পারেনি পুলিশ। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। আসলে পুলিশ কিছুই করছে না।” ক্যানিংয়ে সেচদপ্তরের গেস্ট হাউসে রাজ্যপালের সামনে কেঁদে ফেলেন মানোয়ারা। বাবার মৃত্যু সুবিচার চান তিনি।
দেখুন ভিডিও: