গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালত অবমাননার মামলায় কমিশনের কাছে হলফনামা তলব কলকাতা হাই কোর্টের। ৪৮ ঘণ্টা পরেও কেন আদালতের নির্দেশ মানা হল না? কেন সময় নষ্ট করা হল? হলফনামার মাধ্যমে জানতে হবে আদালতকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (WB Panchayat Vote 2023) ২০ হাজার ৫৮০জন কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন, তাও জানাতে হবে কমিশনকে। আগামী ২৭ জুন হলফনামা তলব করা হয়েছে। ২৮ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার আদালতে জানান, “কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশের পরেও কমিশন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করেনি। উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি করা হয়। অকারণে সময় নষ্ট করা হয়েছে। নির্বাচনে নিরপেক্ষতার কথা বলা হলেও কমিশন তা পালন করছে না। ২০ হাজার ৫৮০ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছে। এই অবস্থায় আমরা একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে নির্বাচন পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচন করার আবেদন জানাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: সৌদিতে বসে কীভাবে মিনাখাঁয় মনোনয়ন? কমিশনের কাছে তদন্ত রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের]
কমিশনের আইনজীবীর সওয়াল, “আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলাম। আমাদের ৩১৫ কোম্পানি দেওয়া হয়েছে। আজ আবার চিঠি দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষ আইএএস আধিকারিকদের পর্যবেক্ষক রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ৮২২ কোম্পানি পেলেই আমরা মোতায়েন করব বাহিনী। কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছে, বাহিনী মজুত আছে। আর চাইলাম যখন তখন প্রয়োজনের কম বাহিনী পাঠাচ্ছে। এদিকে, আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়ে যাচ্ছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন।” সওয়াল জবাব শোনার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, “নির্দেশ না মানলে আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আমার কাছে বেশ কয়েকটি মামলা এসেছিল। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতেই পারেননি? এটা কাম্য নয়। খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।”