অর্ণব দাস, বারাকপুর: টিটাগড়ে বোমা বিস্ফোরণে কিশোর জখম হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বারাকপুরে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। শুক্রবার দুপুরে বারাকপুর কমিশনারেটে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্তি রুখতে ডিজি কড়া নির্দেশ দেন। বলেন, “অপরাধ করলে কেউ যেন ছাড় না পায়।”
একইসঙ্গে ভাটপাড়া, জগদ্দল এবং টিটাগর থানা এলাকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতেও বলেন। বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজরিয়া বলেন, “রুটিন ভিজিটে ডিজিপি স্যার এসেছিলেন। আইসি, ওসি এবং অন্যান্য অফিসারদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। কমিশনারেট এলাকার আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে ওকে জানানো হয়েছে। উনি আমাদের যথাযথ নির্দেশ দিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভা নিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে কংগ্রেস, সোমবার শুনানির সম্ভাবনা]
শুক্রবার বেলা পৌনে একটা নাগাদ বারাকপুরের গোয়েন্দা বিভাগের দপ্তরের কনফারেন্স রুমে বৈঠক শুরু করেন ডিজি মনোজ মালব্য। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার আলোক রাজরিয়া, কমিশনারেট এলাকার ২৫টি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং পদস্থ কর্তারা। কমিশনারেট এলাকায় বিগত এক বছরে অপরাধের শীর্ষে বারবারই উঠে এসেছে ভাটপাড়া, জগদ্দল এবং টিটাগড়ের নাম। সূত্রের খবর, এবিষয়ে এই তিনটি স্পর্শকাতর থানার আধিকারিকেরা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তাও জানতে চান ডিজি। অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ারও বার্তা দেন তিনি। একইসঙ্গে এই তিনটি থানায় ডিজি নিজে নজরদারিতে রাখবেন বলেও এদিন জানান তিনি।
এরপরই ডিজি স্পষ্ট জানান, শিল্পাঞ্চলে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারে আরও তৎপর হতে হবে। সকলকে নির্বিঘ্নে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “অপরাধ করলে যেন কেউ ছাড় না পায়।” প্রায় একঘন্টা বৈঠক শেষে পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান মনোজ মালব্য। সেখানে পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে তারা সোজা টিটাগড় থানায় হাজির হন। সেখান থেকে কলকাতা ফিরে যান ডিজি। এদিন ডিজির সঙ্গে দেখা করতে এসে বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, “স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করতে এসেছিলাম। এলাকার আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও ডিজিকে জানিয়েছি। আগামী দিনে যাতে এইরকম ঘটনা না ঘটে সেটা কঠোর ভাবে দেখা হবে বলে উনি বলেছেন।”