সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থ দফার ভোট (West Bengal Assembly Elections) চলাকালীন বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের পাতলাখাওয়া এলাকায়। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য ঝুলিয়ে দিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহার উত্তর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অমল দাস। বিজেপির দাবি, দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর ফেরেননি। রাত গভীর হয়ে যাওয়ার পর অমল বাড়ি না ফেরায় এলাকায় খোঁজ করা হয়। কিন্তু হদিশ মেলেনি অমলের। পরে শনিবার দুপুরে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। বিজেপির দাবি, তৃণমূল বহুবার ওই ব্যক্তিকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে অমলকে। যদিও তৃণমূলের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা।
[আরও পড়ুন: বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪, অমিত শাহর ইস্তফা দাবি মমতার, রবিবার কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। সাতসকালেই ভোট দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক নতুন ভোটারের। এর কিছুক্ষণের ব্যবধানে জোড়পাটকি এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার তৃণমূল কর্মীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনার নিন্দায় সরব হয় তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। এর জেরে আগামিকাল শীতলকুচি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।