শুভঙ্কর বসু ও বাবুল হক: ভোটের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগরের (Baishnabnagar) নির্দল প্রার্থীর। তবে তার জন্য বাতিল হচ্ছে না ভোট। ২৯ এপ্রিল, অষ্টম দফায় নির্ধারিত সূচি মেনে এই কেন্দ্রে ভোট হবে। জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সোমবার প্রার্থীর মৃত্যুর পর মঙ্গলবার সকাল থেকে গুঞ্জন উঠেছিল, এই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত থাকছে। পরে ফের দিনক্ষণ স্থির হবে। তবে বিকেলের পর কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এই কেন্দ্রে ভোট নিতে কোনও বাধা নেই। তাই ২৯ তারিখেই ভোট হচ্ছে।
এর আগে মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র – সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে কংগ্রেস এবং আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়েছে। আগামী ১৬ মে এই দুই কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। সেইমতোই বৈষ্ণবনগরের ভোটও স্থগিত হবে বলে ধরে নেওয়া হয় এবং সেইমতো গুঞ্জন চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, এই কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে নির্ধারিত সূচি মেনে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল। কিন্তু কেন সামশেরগঞ্জ কিংবা জঙ্গিপুরের মতো এই কেন্দ্রেও ভোট স্থগিত হল না? এ নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত মিত্রর সঙ্গে কথা বলেছে ‘সংবাদ প্রতিদিন’। তিনি জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৫২ নং ধারা অনুযায়ী, শুধুমাত্র কমিশনের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মৃত্যুতেই সেই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে পরে নেওয়া যায়। অন্যথায় ভোট স্থগিতের কোনও সংস্থান নেই। তাই বৈষ্ণবনগরে ভোট হতে বাধা নেই।
[আরও পড়ুন: বীরভূমের ভোটের আগে ফের নজরবন্দি অনুব্রত]
যেহেতু নির্দল প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে ভোটের লড়াইয়ে নামেন, কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন তিনি, তাই তাঁর মৃত্যুতে ভোট স্থগিত করার কোনও সংস্থান নেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে। আর তা মেনেই নির্বিঘ্নে ২৯ তারিখ বৈষ্ণবনগরে ভোট হওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও জটিলতা তৈরি হচ্ছে না। এ নিয়ে নানা মহলে সংশয় তৈরি হওয়ায় কমিশন নিজেই আইনটির কথা উল্লেখ করে ব্যাখ্যা দিয়েছে। ফলে ওইদিন রাজ্যের ৩৪ টি আসনের ভোটারদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য লাইনে দাঁড়াবেন বৈষ্ণবনগরের ভোটাররাও।