সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল সংক্রমণ। দুর্গাপুজো মিটতে না মিটতে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে স্বস্তি জোগাচ্ছে সুস্থতা। কারণ, শুক্রবার বাড়ল করোনাজয়ীর সংখ্যাও।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫০ জন। যা বৃহস্পতিবারের থেকে অনেকটাই বেশি। বর্তমানে পজিটিভ কেস বা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৪৫ জন। একজনের প্রাণহানি হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ হাজার ৫১৩ জন। মৃত্যুহার ১.০২ শতাংশ। উৎসবের মরশুমে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগও। তবে স্বস্তি জোগাচ্ছে সুস্থতা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এদিন মারণ ভাইরাসকে হারিয়েছেন ৩২২ জন। তার ফলে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ৯১ হাজার ৯০৬ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮.৮৯ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনের পর সিউড়ি, ফের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ শিশু, তল্লাশিতে ড্রোন ওড়াল পুলিশ]
২০২০ সালের প্রায় শুরু থেকে দেশজুড়ে দাপট দেখাতে শুরু করে করোনা ভাইরাস। সেই সময় থেকে সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই নমুনা পরীক্ষার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসের দাপট। তার ফলে মাঝে টেস্টের ক্ষেত্রে আমজনতার মধ্যে সামান্য উদাসীনতা দেখা দিয়েছিল। তবে বর্তমানে ফের বাড়ছে টেস্টিং। শুক্রবার ৫ হাজার ৩৪৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট ২.৮১ শতাংশ। উৎসবের মরশুমেও টিকাকরণে কোনও উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়নি। এদিন ১ হাজার ৩৯৭ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি খাতায় কলমে আর আগের মতো মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। তার ফলে বহু মানুষই মাস্ক ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন। চলতি বছরের দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে জড়ো হওয়া দর্শনার্থী হোক কিংবা মেট্রো, বাসে যাতায়াতকারী প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, উৎসবের মরশুমে মাস্কবিহীন মানুষের ভিড়েই কোভিড গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী হল না তো? তাই অনেকেই মনে করছেন, সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের পুরনো অভ্যাস ফের ফেরানোর আরজি বিশেষজ্ঞদের।