নিরুফা খাতুন: দুর্যোগ থেকে এখনই নিস্তার নেই উত্তরবঙ্গবাসীর। প্রবল বৃষ্টি চলবে আরও ৪-৫ দিন। তবে দক্ষিণবঙ্গবাসীর রেহাই নেই। পশ্চিমে দাবদাহ আর বাকি জেলায় চরম অস্বস্তি বজায় থাকবে। রবিবার দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ড পর্যন্ত। এই অক্ষরেখা অসম ও উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থান ও অসমের উপরে। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। শনিবার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই তিন জেলার কয়েক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা। দার্জিলিং, কোচবিহার জেলার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বজায় থাকবে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। শনিবারেও আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলতে থাকবে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
[আরও পড়ুন: ‘আর কথা বলব না’, হঠাৎ মুখে কুলুপ ‘বিদ্রোহী’ দিলীপের, তুঙ্গে রাজ্য সভাপতি পদের জল্পনা]
দক্ষিণবঙ্গের জন্য় নেই কোনও সুখবর। পশ্চিমের তিন জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়ায়। চরম গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। বিকেল ও সন্ধ্যায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে শনিবারও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে। সঙ্গে ৩০-৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ও হতে পারে। এদিকে, পাঞ্জাব, বিহারের মতো ভিনরাজ্যেও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বজায় থাকবে।