নিরুফা খাতুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তার প্রভাবে বাংলায় ১১টি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল রাতের তাপমাত্রা। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি উপরে। কার্যত উধাও শীতের আমেজ। তবে সপ্তাহান্তে ফের আবহাওয়া বদলের সম্ভাবনা। নামতে পারে পারদ।
আলিপুর আবহওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ বর্তমানে পণ্ডিচেরি থেকে ২২০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং চেন্নাই থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। নেল্লোর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব এবং মছলিপত্তনম থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। শক্তি বাড়িয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানবে।
[আরও পড়ুন: ফরাক্কায় ট্রেন দুর্ঘটনা, বালিবোঝাই লরির ধাক্কায় আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে আগুন]
আবহাওয়াবিদদের অনুমান, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনমের মাঝামাঝি এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। সেই সময় এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ হতে পারে। এর পর গতিপথ পরিবর্তন করে শুধুই উত্তর দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়। তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরি, অন্ধ্রপ্রদেশে উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তন। ১১টি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, নদিয়া এবং ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির সম্ভাবনা। উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে হালকা ঝোড়ো হাওয়া। উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকা ছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলে শুক্রবারের পর থেকে পারাপতনের ইঙ্গিত।