নিরুফা খাতুন: দিনদুয়েক ধরে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে চলছে লাগাতার বৃষ্টি। তার ফলে জলযন্ত্রণাও সহ্য করতে হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। অবিরাম বৃষ্টি থেকে কবে মিলবে রেহাই? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। আশার বাণী শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বেলা বাড়লেই দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টির প্রভাব। তবে এখনই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি। উত্তরবঙ্গেও চলবে ভারী বৃষ্টি।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝাড়খণ্ড ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পুরোপুরি ঝাড়খণ্ড থেকে সরে যাবে এই নিম্নচাপ। এটি ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। অভিমুখ বিহার হয়ে উত্তরপ্রদেশ। গয়া থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ১৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ডালটনগঞ্জ থেকে। তার ফলে শনিবার বেলা বাড়লেই কমবে বৃষ্টি। ভারী না হলেও, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে কলকাতা-সহ পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। রবিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও কমবে দক্ষিণবঙ্গে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে দু-এক জায়গায়।
উত্তরবঙ্গে চলবে ভারী বৃষ্টি। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজবে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে। রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পংয়ে। সোমবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। মঙ্গলবারেও উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির ফলে ধসের আশঙ্কা। নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।