রাহুল রায়: ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (Primary TET 2014)। সল্টলেকের রাস্তায় চলছে তাঁদের আমরণ অনশন। এদিকে এই ধরনার বিরোধিতা করে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দ্রুত শুনানির আরজি জানালেও তা খারিজ করে দেয় আদালত। হাই কোর্টের পালটা প্রশ্ন, “এতদিন আন্দোলন চলছে, আর এক দিন চললে এমন কী অসুবিধা হবে?”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অভিযোগ, আন্দোলনের জেরে দপ্তরে ঢুকতে পারছে না কোনও কর্মী। ফলে রোজকার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হল পর্ষদ। ধরনার বিরোধিতা করে দায়ের করা মামলার দ্রুত শুনানির আরজি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্ট তাদের সেই আরজি খারিজ করে দেয়। মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, “এত দ্রত শুনানির কী আছে? এতদিন আন্দোলন চলছে, আর এক দিন চললে এমন কী অসুবিধা হবে?” আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হতে পারে মামলার শুনানি।
[আরও পড়ুন: কেরলে কাজে যাওয়ার নামে প্রেমিকার সঙ্গে সংসার! ২ মাস পর মিলল যুবকের দেহ, উত্তেজনা ক্যানিংয়ে]
গতকাল সোমবার বেলা ১২টা থেকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট (TET) উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। পুলিশের বারবার বলার পরেও অবস্থান তুলতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায় পুলিশকর্মীদের। ধস্তাধস্তির মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এদিন সকালেও কিন্তু করুণাময়ীতে পরিস্থিতি একই আছে। চাকরির দাবিতে নিজেদের অবস্থান থেকে একটুও নড়তে নারাজ তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের একাংশের কথায়, টেট জটে তাঁদের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। ফলে নতুন করে চাকরির সুযোগ তাঁদের কাছে নেই বললেই চলে। একবার টেট পাশ করে কেনই বা তাঁরা বঞ্চিত থাকবেন।
এদিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিয়েছেন, নিয়ম ভেঙে তাঁদের নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, “এরা কেউ প্যানেলভুক্ত হননি। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি আইনসম্মত নয়।” তারপরেও আন্দোলন তোলেননি চাকরিপ্রার্থীরা। এবার তাঁদের আন্দোলন তুলতে কোর্টে গেল পর্ষদ।