সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনিশ্চিত ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ। তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
শুক্রবার প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৪ সালের টেট থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্তদের মধ্যে যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, তাঁদেরই চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে তাঁর কড়া নির্দেশ, আগামী ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় সংখ্যক চাকরি বাতিলের নজির।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র শক্তিক্ষয়ের পরই সুখবর, চলতি সপ্তাহেই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা]
কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। চাকরিহারাদের দায় পর্ষদের সেকথা জানান তিনি। হাই কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদ যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন গৌতমবাবু। সেই মতো বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অন্যদিকে, চাকরি বাতিলের রায়ে সংশোধনী চেয়ে সোমবার বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।