তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন কোচবিহারের (Cooch Behar) ববিতা সরকার। কিন্তু এবার তাঁর চাকরি নিয়ে উঠল প্রশ্ন। শিলিগুড়ির এক চাকরি প্রার্থী দাবি, পর্ষদের ভুলে নম্বর বেড়েছিল ববিতার। সেই জন্যই চাকরি মিলেছে। আদতে পরেশ অধিকারীর মেয়ের খোয়া চাকরির দাবিদার অন্য তরুণী।
চাকরির জন্য লড়াই করছেন অনেকেই। প্রায় ২ বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তায় বহু চাকরিপ্রার্থী। নিজেদের মতো করে দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে ববিতার লড়াই ছিল অন্যরকম। সোজাসুজি রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। প্রমাণ-সহ আদালতে জানিয়েছিলেন, পরেশকন্যা অঙ্কিতা যে চাকরি করছিল, তাঁর আসল দাবিদার তিনি নিজে। লড়াই শেষে জয়ও পান। হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারান অঙ্কিতা। ফেরত দিতে হয় চাকরি জীবনে উপার্জন করা সমস্ত অর্থ। তাঁর জায়গায় চাকরিতে যোগ দেন ববিতা।
[আরও পড়ুন: তিন সমবায়ের ভোটে নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের, ফের মুখ থুবড়ে পড়ল বিরোধীরা]
এবার সেই ববিতার নম্বর নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়। তাঁর দাবি, অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনে ববিতার পাওয়ার কথা ছিল ৩১ নম্বর। কিন্তু পর্ষদের তরফে তাঁকে দেওয়া হয় ৩৩। যার জেরে প্যানেলের ১৯ নম্বরে উঠে আসেন ববিতা। পরবর্তীতে অঙ্কিতার নাম প্যানেলে ঢোকায় ববিতার নাম নেমে যায় ২০ নম্বরে। অনামিকার দাবি, সঠিক নম্বর নেমে প্যানেলে ববিতার নাম থাকত ২৬ নম্বরে। সেক্ষেত্রে ববিতার জায়গায় থাকতেন অনামিকা। অর্থাৎ অঙ্কিতার খোয়া যাওয়া চাকরি পাওয়ার কথা ছিল তাঁরই।
জানা গিয়েছে, ববিতার দেখানো পথেই এবার ববিতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবেন অনামিকা। ইতিমধ্যেই আইনজীবীর পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। তবে এখনও এ বিষয়ে ববিতার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।