সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়। দুই মন্ত্রেই বাজিমাত। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় আলিপুরদুয়ারের অভীক, বারাসতের সৌম্যদীপ এবং মালদহের অভিষেক। মহাকাশের রহস্যভেদই স্বপ্ন অভীকের। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা লক্ষ্য সৌম্যদীপের। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ভবিষ্যতে এগোতে চায় অভিষেক।
আলিপুরদুয়ারের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভীক দাস। ম্যাকউইলিয়াম স্কুলের ছাত্র তিনি। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। ২০২২ সালে মাধ্যমিক দিয়েছিল। সেবার চতুর্থ স্থান দখল করেছিলেন। এবার একেবারে প্রথম স্থানাধিকারী অভীক। দিনে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন। তবে এত ভালো যে ফলাফল হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ভবিষ্যতে মহাকাশের রহস্যভেদই স্বপ্ন তাঁর। অ্যাসট্রো ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা প্রবীরকুমার দাস। বলেন, “খুব ভাল লাগছে। প্রথম পাঁচে থাকবে আশা ছিল, তবে যে প্রথম হবে, এটা আশা করিনি। ইতিমধ্যেই ও জয়েন্ট দিয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরের অন্যান্য পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: বিভিন্ন শহর থেকে ভাড়া করে অভিনব পন্থায় গাড়ি চুরি! কলকাতা পুলিশের জালে মূলচক্রী]
উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় সৌম্যদীপ সাহা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। আবাসিক পড়ুয়া হওয়ায় নিয়মের বাইরে বেরতে পারেননি কোনওদিন। মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। নমাসে, ছমাসে বাড়ি ফিরলে তবেই হাতে পেতেন মোবাইল। সে কারণে এমন সাফল্য বলেই দাবি তাঁর। বারাসতের বাসিন্দা সৌম্যদীপের নেশা আবৃত্তি। প্রিয় বিষয় অঙ্ক। স্ট্যাটিস্টিক নিয়ে পড়তে চান তিনি। সৌম্যদীপের সাফল্যে খুশি তাঁর বাবা-মা।
মালদহ রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অভিষেক গুপ্ত। মালদহের বাসিন্দা হওয়ায় আবাসিক পড়ুয়া ছিলেন না তিনি। মোবাইল হাতে পেতেন না। অঙ্কই ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। পড়াশোনার ফাঁকে সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন সাহিত্যিকের লেখা বই পড়তেন অভিষেক। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে এগোতে চান তিনি।