স্টাফ রিপোর্টার: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সব বিষয়ের পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পাঠ্যক্রমকে সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) স্তরে মোট ৬০টি বিষয় রয়েছে। যার মধ্যে ১৩টি বৃত্তিমূলক বিষয়কে বাদ রেখে বাকি ৪৭টি বিষয়ের পাঠ্যক্রমই ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হবে। তার জন্য চার সদস্যের বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিগুলিকে নিয়ে প্রথম বৈঠক হতে চলেছে আগামিকাল, শনিবার। পরিকল্পনামাফিক সব কিছু চললে আগামী তথা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন পাঠ্যক্রমে পঠন-পাঠন চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি।
২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে শেষবার একাদশ-দ্বাদশের পাঠ্যক্রম এত ব্যাপক আকারে সংশোধন করা হয়েছিল। অর্থাৎ প্রায় ১০ বছর পর সংশোধন করা হচ্ছে পাঠ্যক্রমের। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা ৪৭টি বিষয়ের পাঠ্যক্রম ব্যাপক আকারে সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি। আমরা প্রধান সমস্ত বিষয়ে এনসিইআরটি তথা সিবিএসই-র গাইডলাইন অনুসরণ করব। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিতে আমাদের রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় বা অন্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের থেকে পিছিয়ে না পড়ে, তা সুনিশ্চিত করতেই সিবিএসইকে বেঞ্চমার্ক হিসাবে রাখা হবে।”
[আরও পড়ুন: সংসদ হানার মূলচক্রীর সঙ্গে তাপস রায়ের ছবি পোস্ট সুকান্তর! তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের]
প্রথম বৈঠকেই সাব-কমিটিগুলিকে পাঠ্যক্রম সংশোধন সংক্রান্ত গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হবে। সেই গাইডলাইনের ভিত্তিতে কমিটিগুলি পাঠ্যক্রম সংশোধন করবে। এ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে গোটাটাই পাঠানো হবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে। দপ্তরের অনুমোদন পেলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন পাঠ্যক্রম চালু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি। সংশোধনের সঙ্গে পাঠ্যক্রমকে দ্বি-ভাগ করার কাজও করবে এই সাব-কমিটিগুলি। চিরঞ্জীববাবু বলেন, “আমাদের ইচ্ছে আছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু করার। সেটা রাজ্য সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষ।
কিন্তু, সেমেস্টার ব্যবস্থায় পাঠ্যক্রমকে দুইভাগে ভাগ করতে হবে। তার প্রস্তুতিটা আমরা পাঠ্যক্রম সংশোধনের সঙ্গেই নিয়ে রাখছি।” সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু হলে পরীক্ষার ধরনেও পরিবর্তন আসবে। তারই হাত ধরে প্রশ্নপত্রের ধরনেও পরিবর্তন আসবে। সেই নতুন প্রশ্নপত্রের ধরন কী হবে, তাও তৈরি করানো হবে বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস সাব-কমিটিগুলিকে দিয়ে। কী ধরনের পরিবর্তন হতে পারে পাঠ্যক্রমে। উদাহরণস্বরূপ সংসদ সভাপতি তুলে ধরেন ‘ট্যাক্স রেজিম’-এর কথা। ২০১২-১৩ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত যার বহু পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু, পাঠ্যক্রম সংশোধন না হওয়ায় পুরনো ট্যাক্স রেজিম পড়ানো হয় অ্যাকাউন্টেন্সি, বিজনেস স্টাডিজ, ইকোনমিকসে। যা এবার সংশোধন করা হবে। চিরঞ্জীববাবু বলেন, “যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব বিষয়ের পাঠ্যক্রমকেই সময়োপযোগী করার চেষ্টা করব।”