সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে ওঁত পেতে বসে চিনা ফৌজ। আলোচনার ধোঁয়াশা বজায় রেখে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে ‘ড্রাগন’। তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তৈরি ভারতীয় সেনাবাহিনীও। আলোচনা চললেও লালফৌজের উদ্দেশ্য যে সুবিধের নয় তা শুক্রবার ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
[আরও পড়ুন: চিন থেকে সরে ভারতে স্যামসংয়ের কারখানা! নয়ডায় ইউনিট খুলতে সাড়়ে ৪ হাজার কোটি বিনিয়োগ]
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর চিনের অভিসন্ধি নিয়ে জয়শংকর বলেন, “আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তবে আমার পূর্ণ বিশ্বাস জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আসা যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম আমরা। চলতি বছরের বেশ কিছু উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। ফলে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। এসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়েন ও পরস্পরের সীমানা সম্মান করা সংক্রান্ত সমঝোতা অপরপক্ষ মানছে না।” গতকাল বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “গত ছ’মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পূর্ব লাদাখে যা ঘটেছে তা একতরফাভাবে চিনা পদক্ষেপের জন্যই ঘটেছে। ভারত-চিন সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বেজিং।” বিশ্লেষকদের মতে, সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চললেও হানাদার লালফৌজ যে সীমান্ত থেকে সরবে না তা সাফ বুঝতে পেরেছে নয়াদিল্লি। ফলে, সমরিকভাবে প্রস্তুত থাকার সঙ্গেই কূটনৈতিক মঞ্চেও বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারত।
সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে ডাকটিকিট প্রকাশ করার অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয় চিন। সে দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়, এই অনুষ্ঠান বাতিল করে দিতে হয়েছে কারণ ভারতের দিক থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। চিনের এই অভিযোগের পরই সরব হয় নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র সাফ জানান, চিনের মন্তব্য তথ্যগত ভাবে সঠিক নয়। এটা খেয়াল রাখতে হবে যে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বর্ষ উদযাপনের জন্য কোনও উৎসবই শুরু হয়নি। ফলে ডাকটিকিট প্রকাশের যৌথ উদ্যোগটিরও বাস্তবায়নের কোনও প্রশ্ন উঠছে না। সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি যে অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে তা স্পষ্ট।