প্রসূন বিশ্বাস: তখনও মোহনবাগানের সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হয়নি। একটু আগেই সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষে এসে গিয়েছিলেন নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের কোচ জুয়ান পেদ্রো বেনালি। দরজায় হেলান দিয়ে একমনে শুনছিলেন মোহনবাগান কোচ মলিনার কথাগুলো। মলিনার কথা শেষ হলে মোহনবাগান কোচের সঙ্গে করমর্দন করেই নিজের কথা বলতে শুরু করলেন বেনালি।
প্রথমবার ডুরান্ডের ফাইনালে উঠেছেন। নর্থ-ইস্টের সামনে ট্রফি জেতার সুযোগ। এমন পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে নর্থ-ইস্ট কোচ বলছেন, “কলকাতার এমন দর্শকের সামনে খেলতে পারব, এটা ভেবে উচ্ছসিত। আমাদের কাছে হারানোর কিছুই নেই। শুধু ভালো ফুটবল উপহার দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে হবে। ” সঙ্গে যোগ করেন, “এতদিন হয়নি ডুরান্ড কাপ জেতা। কেন হয়নি সেই উত্তর অবশ্য আমার কাছে নেই। তবে এবার আমরা সেই ইতিহাস বদলাতে এসেছি।” নিজেই জানালেন ফাইনালে দলকে উৎসাহ দিতে আসতে পারেন নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড কর্ণধার জন আব্রাহম।
[আরও পড়ুন: ‘টাকাটাই সব নয়’, রোহিত খেলবেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেই, ভবিষ্যদ্বাণী অশ্বিনের]
মোহনবাগানের যেমন বিশাল কাইথ গোলপোস্টের নীচে নির্ভরতা দিচ্ছেন দলকে। ঠিক তেমনই নর্থ-ইস্টের রক্ষণে নির্ভরতার অন্যনাম মিচেল জাবাকো। দলের অধিনায়ক জাবাকো বলছেন, “আমরা এখানে এসেছি একশো শতাংশ উজার করে দিয়ে ট্রফিটা নিয়ে যেতে। ওদের দারুণ কিছু ফুটবলার থাকলেও আশা করছি পরিকল্পনা মাফিক খেলতে পারলে জয় আসবে।”
প্রতিপক্ষে জেসন কামিংস, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি পেত্রাতোসদের মত ফুটবলাররা রয়েছেন। ব্যক্তিগত নৈপূন্যে ভরা এই তারকাদের বিরুদ্ধে নামার আগে উইং প্লে-কেই অস্ত্র করতে চান বেনালি। আরও বলছেন, “পেত্রাতোস, সাহাল, মনবীর, বিশাল দারুণ ফুটবলার। আমরা সময়মতো সেরা অস্ত্রগুলো ব্যবহার করব। তারপর যারা সেরা হবে তাদের জন্য শুভেচ্ছা রইল। ”
এমন কি প্রতিপক্ষের এই বড় নামকেও মাথায় রাখতে চান না বেনালি। তাঁর জবাব মাঠে খেলা হবে এগারো বনাম এগারোজন ফুটবলারদের মধ্যে। সেখানে পরিকল্পনা মাফিক ফুটবলই ট্রফি জেতাতে পারে তাদের। এই টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে ১৬টি গোল করেছে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। গোল খেয়েছে মাত্র একটি। ফাইনালে নামার আগে এই পরিসংখ্যানও আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে নর্থ-ইস্টের। তার উপর শিবিরে চোট আঘাতের খবর নেই। ফাইনালে ভালো খেলার পাশপাশি আইএসএল শুরু হওয়ার আগে মোহনবাগানের মতো হেভিওয়েট দলকে পরখ করে নেওয়া নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড কোচের অন্যতম লক্ষ্য।