সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এবার বড় বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের। জানিয়ে দিলেন, ক্ষমতায় এলে আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে লাগু করা হবে এনআরসি। ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দাবি, ঝাড়খণ্ড-সহ গোটা দেশ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে বেছে বেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে।
এখনও দিনক্ষণ প্রকাশ না হলেও চলতি বছরেই ঝাড়খণ্ডে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে নজর রেখে জোরকদমে এই রাজ্যে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। দুর্নীতির পাশাপাশি এবার নির্বাচনী প্রচারে ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অস্ত্রকে হাতিয়ার করেছে গেরুয়া শিবির। ঝাড়খণ্ডের জনসংখ্যায় ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য সরাসরি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকে দায়ী করে শিবরাজ বলেন, "অনুপ্রবেশের জেরেই সাঁওতাল পরগণায় আদিবাসীদের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ২৮ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এই নির্বাচন শুধু সরকার গড়ার বা নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার নয়। এই নির্বাচন ঝাড়খণ্ডকে রক্ষা করার। আমাদের বেটি, মাটি ও রোটি রক্ষার।"
অনুপ্রবেশ সমস্যার জন্য ঝাড়খণ্ডের বর্তমান জেএমএম সরকারকে দায়ী করে শিবরাজ বলেন, "হেমন্ত সোরেন ও তাঁর দল ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা এখানে এসে সহজে আধার কার্ড পেয়ে যাচ্ছে। অল্পবয়সী মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিয়ে করছে, তাদের নামে জমি কিনছে। এই ঘটনা দেশের জন্য ভয়ংকর। এই সমস্যা দূর করতে এ রাজ্যে এনআরসি প্রয়োজন। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডে আমরা এনআরসি লাগু করব। এবং প্রতিটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে বের করে রাজ্য থেকে তাড়ানো হবে।" বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে এনআরসির প্রতিশ্রুতি থাকবে বলেও জানিয়ে দেন শিবরাজ
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে এনআরসি লাগুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। যদিও সেই নির্বাচনে ফল খারাপ হওয়ার পর আর এই ইস্যুতে উচ্চবাচ্য করেননি বিজেপির কেউ। তবে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নির্বাচনী পালে হাওয়া তুলতে অনুপ্রবেশ তত্ত্বকে হাতিয়ার করল গেরুয়া শিবির। এর আগে এই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে অমিত শাহ বার্তা দিয়েছিলেন, 'বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উলটো করে ঝুলিয়ে শিক্ষা দেওয়া হবে।'