সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban) সমস্ত দেশের সঙ্গে শান্তি বজায় রেখে চলতে চায়। ঘরে বাইরে কোথাও কোনও শত্রু রাখতে চায় না তারা। আফগানিস্তানকে (Afghanistan) কবজায় আনার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করল তালিবান। প্রেসিডেন্ট ভবনের ওই সম্মেলনে তাদের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ এও জানায়, ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী মহিলাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখবে তালিবান।
গত রবিবার কাবুলে (Kabul) প্রবেশ করে তালিবান। এরপর আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির পদত্যাগ ও তালিবানের সঙ্গে আফগানের সরকারের ক্ষমতার হস্তান্তর প্রসঙ্গে আলোচনায় পরিষ্কার হয়ে যায় আফগানিস্তান ফের তালিবানের দখলে চলে এসেছে। তারপর থেকেই দেশময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আলোচনা শুরু হয় আবার কি ফিরবে কুড়ি বছর আগের সেই দিনগুলি?
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: ফিরছে তালিবানি ফতোয়ার যুগ! আতঙ্কে সন্ত্রস্ত আফগান মহিলারা]
কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালিবান বারবার জানিয়েছে, তারা হিংসা চাইছে না। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনেও সেই সুরই দেখা গেল। তালিবান মুখপাত্র বলেন, ”ইসলামের বেঁধে দেওয়া কাঠামোর ভিতরে মহিলারা সমাজে সক্রিয় অবস্থানেই থাকবেন।” এমনকী, আফগান মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করাতেও যে তাদের আপত্তি থাকবে না সেই দাবিও করতে দেখা যায় জাবিউল্লা মুজাহিদকে।
সেই সঙ্গে তালিবানের আরও দাবি, পড়শি দেশের সঙ্গেও সম্পর্ক কোনও ভাবেই খারাপ করবে না তালিবান। জাবিউল্লা জানিয়েছে, ”আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিকে নিশ্চিত করতে চাই যে আমাদের মাটিকে তাদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এর আগের সরকার ছিল অযোগ্য। তারা সুরক্ষা দিতে পারেনি। আমরা দেশের সমস্ত বিদেশি সংগঠনকে সুরক্ষা দেব।” সব মিলিয়ে কোনও প্রতিহিংসা নিয়ে যা তারা চলবে না, সেটাই বোঝাতে চেয়েছে তালিবান।
কতটা বদলেছে তালিবান? এপ্রসঙ্গে তালিবানের দাবি, নয়ের দশকে আফগানের শাসক থাকাকালীন তারা যা ছিল একনও আদর্শ ও ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে তারা একই রয়েছে। কিন্তু বদল হয়েছে অভিজ্ঞতায়। এখন তারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ।
এদিকে দেশের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি দেশ ছাড়ার পরও ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ রয়ে গিয়েছেন আফগানিস্তানেই। এবার তিনি জানিয়ে দিলেন আপাতত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব তিনিই সামলাবেন অস্থায়ী ভাবে। সালেহ দাবি করেছেন, তিনি এখন এদেশের ‘বৈধ কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট’।