নিরুফা খাতুন: পুজোর বাকি মাসখানেকেরও কম সময়। কেনাকাটি শুরু করে দিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে তাল কাটছে বৃষ্টি। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বিপাকে আমজনতা। রবিবার ছুটির দিনেও কী পুজোর শপিং পণ্ড করবে বৃষ্টি? বাড়ি থেকে বেরনোর আগে জেনে নিন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের নিম্নচাপ এলাকা থেকে উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে সিকিম থেকে মধ্য মহারাষ্ট্র পর্যন্ত। এই অক্ষরেখা বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে বিস্তৃত। এছাড়াও ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে গুজরাটের কচ্ছ ও পাকিস্তান সংলগ্ন এলাকা এবং দক্ষিণের তামিলনাডু এলাকায়। সামনের সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সরতে শুরু করবে পশ্চিম ভারত থেকে।
[আরও পড়ুন: ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর ‘শাস্তি’, আয়ার নৃশংস অত্যাচারে মৃত্যু বৃদ্ধার]
মৌসুমী অক্ষরেখা জয়সলমীর, কোটা, গুনহা, কাটনি হয়ে অম্বিকাপুর, জামশেদপুর এবং দক্ষিণবঙ্গের দিঘার উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। তার প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দুই-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টি কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে তাপমাত্রা। রবিবার থেকে ফের ফিরবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
তবে উত্তপবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা। পাহাড়ি রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমবে। অতি বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে নদীর জলস্তর বাড়বে। একই সঙ্গে অসম, মেঘালয়-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের উপরের দিকে রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির প্রভাব পড়বে। বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তার বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে পারে। নদী সংলগ্ন কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। নিচু এলাকায় জল জমা এবং প্লাবনের আশঙ্কা। এদিকে, বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আশ্বিনে যেন হালকা শীতের আমেজ।
দেখুন ভিডিও: