সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন চৈত্র। কিন্তু রোদ উঠতেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা শহরবাসীর। চৈত্রেই অনুভূত হচ্ছে দাবদাহ। বসন্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চৈত্র মাসটাও প্রায় গিলে ফেলেছে গ্রীষ্ম। তবে পরের সপ্তাহের শুরুর দিকে এই দাহদাহ থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলছে চলেছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার জোড়া ফলায় উত্তর ও দক্ষিণ, দুই বঙ্গই ভাসবে বৃষ্টিতে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে আবহাওয়ার বদল হতে শুরু করবে। তার প্রভাব পড়বে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। তবে আকাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে হাওয়াবদলের এই শুভসূচনাটা হতে শুরু করবে শুক্রবারই। কারণ আজ থেকেই আকাশের মুখ ভার। সকাল থেকেই রোদের পরিবর্তে মেঘলা আকাশ দেখেছে শহরবাসী। রোদ উঠলেও তা ক্ষণিকের অতিথি। আবার কালো করে আসছে আকাশ। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
[ আরও পড়ুন: কৌটো হাতে ভোটে লড়ার টাকা তুলছেন জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর ]
জানা গিয়েছে, এই গরমে বৃষ্টির সুখবর অবশ্যই বয়ে এনেছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। কিন্তু তাতে অনুঘটকের কাজ করেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত এই অক্ষরেখার ফলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
প্রতি বছর মার্চে সাধারণত দুটি কালবৈশাখী হয়৷ কিন্তু চলতি বছর ঝড়বৃষ্টির প্রকোপ অনেক বেশি৷ ইতিমধ্যেই কলকাতায় হয়ে গিয়েছে দুটির বেশি কালবৈশাখী৷ তাঁদের দাবি, প্রতি বছর মার্চের শুরু থেকেই রাঢ়বঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ওড়িশার মাটি খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়৷ মার্চের মাঝামাঝি পাথুরে মাটি এতটাই গরম হয়ে যায় যে সেখানকার বাতাসও উষ্ণ হয়ে উপরে উঠে আসে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসে জলীয় বাষ্পে ভরা হাওয়া। যা উল্লম্ব মেঘ তৈরি করে। ঈশান কোণের এই কালো মেঘ বায়ুমণ্ডলের উপরে উঠে ঠান্ডা বাতাসের ছোঁয়া পেলেই বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জের সৃষ্টি হয়। তার থেকেই আকাশ কালো করে শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি।
[ আরও পড়ুন: ভোট আসতেই বন্দুক সামলাতে নাকাল বৃদ্ধ, চাইছেন দায়িত্ব থেকে মুক্তি ]
The post গুমোট গরম থেকে স্বস্তি, ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের appeared first on Sangbad Pratidin.