নিরুফা খাতুন: ভোরের বাতাসে শিরশিরানি ভাব, রাতেও হালকা উষ্ণ চাদর হলে মন্দ হয় না! হেমন্তের হিমেল পরিবেশ ধীরে ধীরে টের পাওয়া যাচ্ছে। উৎসব শেষের বিষণ্ণ বঙ্গে এখন শীতকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত জনতা। রোজই চোখ রাখছেন আবহাওয়ার খবরাখবরে। তাতে পারদ পতনের খবর মিলছে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের পথ ধীরে ধীরে প্রশস্ত হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে সপ্তাহান্তেই দু থেকে তিন ডিগ্রি নামবে তাপমাত্রা। ফলে উইকেন্ডে জমিয়ে ঠান্ডার আমেজ টের পাওয়া যাবে। আর মাঝ নভেম্বর থেকে গুটি গুটি পায়ে শীত এসে দাঁড়াতে পারে দুয়ারে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। শুষ্ক আবহাওয়ার দাপট বাড়বে। বৃহস্পতিবার থেকে পারদ নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। উত্তরবঙ্গে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার মূলত পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের আর কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে দু-এক ঘন্টার জন্য কোথাও কোথাও কুয়াশা কিংবা ধোঁয়াশা হতে পারে। দিন তিনেক পর রাজ্যে পারদ নামবে দু থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার নিচেও নামতে পারে। ফলে সপ্তাহান্তে ঠান্ডার আমেজ থাকবে।
এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। ধীরগতিতে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং এগোবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। এই নিম্নচাপ পশ্চিমমুখী অগ্রসর হবে শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাডু উপকূলের অভিমুখে। এছাড়া একটি অক্ষরেখা রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপর, তা পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বাংলা ও ওড়িশায়।
উত্তরবঙ্গে অবশ্য দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা। বাকি কোনও জেলাতেই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা থাকবে। মূলত শুষ্ক আবহাওয়া হওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে জলীয় বাষ্প থাকায় বাতাসে ধোঁয়াশা থাকবে। আর এই পরিবেশে সকালের দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন সুস্পষ্ট হবে বলে সুখবর শোনাল আবহাওয়া দপ্তর।
কলকাতায় মূলত পরিষ্কার আকাশ। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামতে পারে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৯ থেকে ৯৬ শতাংশ।