সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: চাঁদিফাটা গরম থেকে মুক্তি দিতে রবিবার সকাল থেকেই জেলায়-জেলায় ঝড়-বৃষ্টি। কালো মেঘে মুখ ঢেকেছে আকাশ। তবে এদিন সকালের প্রবল ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। মর্মান্তিক ঘটনা দুটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বরের পিয়াসাড়া এবং গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত যুবকের নাম লক্ষণ মালিক(২৬)। এদিন ভোরে জমিতে চাযের কাজ করছিল ওই যুবক। আবহাওয়ার বদলাতে দেখেই বাড়ি ফেরার পথ ধরেন। তখনই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতও হচ্ছিল। তাতেই আহত হয়ে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পেত দেশ! কেন কুরসি অধরাই থেকে যায় প্রণবের?]
গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া এলাকায় কৃষি জমিতে কাজ করবার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক কৃষকের। মৃতের নাম নেপাল হালদার (৩৮)। মৃত কৃষক নেপাল হালদার স্ত্রী ময়না হালদার জানিয়েছেন, রবিবার ভোর পাঁচটা- সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি ও তাঁর স্বামী পটল ক্ষেতে যান কৃষি কাজ করতে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে স্বামী নেপাল হালদার বলেন তাকে বাড়ি চলে যেতে। বাড়ি ফিরে তার কাছে নেপালের সহ কর্মীরা ফোন করে জানায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার স্বামীর।
গত কয়েক দিন ধরেই চাঁদিফাটা গরম ছিল দক্ষিণবঙ্গে। এর মাঝেই স্বস্তির কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, রবিবার কালবৈশাখী হতে পারে অন্তত সাত জেলাতে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে স্বস্তির কালবৈশাখী বইতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড় হতে পারে। কলকাতাতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে আগামী দু'দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দু-চার ডিগ্রি কমতে পারে কলকাতায়। কিছুটা স্বস্তি মিলবে।