সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে কোর্টশিপ করছেন ব্রিটেনের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পিটার ম্যান্ডেলসন। প্রেমিকার প্রতি তাঁর ভালবাসার কমতি নেই। তবে, বিয়ে করার কথাও ভাবেননি এতদিন। ভাবলেন, বলা ভাল, ভাবতে বাধ্য হলেন শনিবার ১৯ মে’র পর। ব্রিটেনের রাজ পরিবারের রয়্যাল ওয়েডিং চাক্ষুষ করার পর এখন বিয়ে করার ইচ্ছে হয়েছে তাঁরও। ব্রিটেনের এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেও ফেললেন সে ইচ্ছের কথা। জানালেন, “এই বিয়ে আমাকে এতটাই প্রভাবিত করেছে যে, ভাবছি আমিও বিয়েটা করেই ফেলি। খুব শীগগিরই আমার দীর্ঘদিনের প্রেমিকার কাছে বিয়ের প্রস্তাব রাখব। তবে কীভাবে ওকে চমকে দেব, তা নিয়েই চিন্তাভাবনা করছি এখন।”
[ উপহার না দিয়ে মুম্বইয়ের সংস্থায় দান করুন, হ্যারি ও মেগানের অভিনব আবেদন ]
রয়্যাল ওয়েডিং পরবর্তী এমন রোম্যান্টিক দশা অবশ্য একা ব্রিটেনের মন্ত্রীর নয়, বিয়ের ঢেউয়ে গা ভাসিয়েছে গোটা ব্রিটেন দেশটাই। শনিবারের পর থেকে নাকি আংটির বিক্রি বেড়েছে ব্রিটেনে! সবাই এই বসন্তেই বিয়ে করতে চায়। টিভির পর্দায় সোৎসাহে সেই খবর জানাতে দেখা গেল অসংখ্য ব্রিটিশ যুগলদের। চ্যানেলে শুধুই চলছে হ্যারি-মেগানের বিয়ের নানা রোম্যান্টিক মুহূর্তের ক্লিপিং। ব্রিটেনের ছোট রাজকুমার হ্যারি আর তাঁর প্রেমিকা মেগান মার্কলের বিয়ের ঘোর যেন কাটতেই চাইছে না ব্রিটেনবাসীর। বরং বলা চলে এই বসন্তে রীতিমতো বিয়ের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে লন্ডনে।
এদিকে নবদম্পতি হ্যারি-মেগানেরও পাত্তা নেই। শনিবার বিকেলে সেই যে পোশাক বদলে আকাশি রঙের ভিন্টেজ জাগুয়ারে চেপে যুবরাজ চার্লসের দেওয়ার রিসেপশন পার্টির জন্য রওনা হলেন রাজ দম্পতি তারপর থেকে অনেক চেষ্টা করেও খোঁজ মেলেনি তাঁদের। রিসেপশন পার্টিতে কী কী হল, তার খবর জোগাড় করতে পারেনি খবরসন্ধানীরা। পার্টি শেষে এতদিনে লন্ডনে রাজ পরিবারের থাকার জায়গা কেনসিংটন প্যালেসে ফিরে যাওয়ার কথা হ্যারি-মেগানের। কিন্তু, কেনসিংটন প্যালেসের ওয়েবসাইটে সে ব্যাপারে এখনও কোনও খবর দেওয়া হয়নি। অথচ কেট-উইলিয়ামকে ফিরে আসতে দেখা গিয়েছে লন্ডনে। রানিও উইন্ডসর ছেড়েছেন রবিবারই। তবে কি হ্যারি-মেগান সরাসরি মধুচন্দ্রিমায় পাড়ি দিলেন? এব্যাপারে জল্পনা চললেও ব্রিটেনের একটি পত্রিকা জানাচ্ছে এখনই হানিমুনে যাবেন না রাজ পরিবারের ছোট ছেলে আর বউমা। দু’জনেই সরাসরি যোগ দেবেন নিজের নিজের কাজে। তাছাড়া সামনেই রাজপরিবারের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানও রয়েছে। যেখানে রাজ পরিবারের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব নিতে হবে মেগানকেও। যার মধ্যে অন্যতম যুবরাজ চার্লসের জন্মদিনের অনুষ্ঠান। সেখানে থাকতেই হবে হ্যারি-মেগানকে। ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ সাসেক্স হিসাবে এটাই হবে তাঁদের প্রথম রাজকীয় অনুষ্ঠান। মেগান আগেই জানিয়েছেন, রাজ পরিবারের সদস্য হিসাবে তাঁর সমস্ত দায়িত্ব বিয়ের পরের দিন থেকেই যথাযথভাবে পালন করবেন তিনি। সুতরাং যুবরাজ চার্লসের জন্মদিনের অনুষ্ঠান তাঁর প্রথম পরীক্ষার মতোই।
[ রাজকীয় বিয়েতে প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়নাকে অনন্য সম্মান হ্যারি-মেগানের ]
এমনিতে চার্লসের জন্মদিন ১৪ নভেম্বর। এবছর ৭০-এ পদার্পণ করবেন ব্রিটেনের যুবরাজ। আর যেহেতু তিনিই সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী, তাই তাঁর ৭০তম জন্মদিন নেহাত কথার কথা নয়। ছ’মাস আগে থেকেই শুরু হবে সেলিব্রেশন। মঙ্গলবার বাকিংহাম প্যালেসের বিশাল গার্ডেন পার্টিতে যার সূচনা। ব্রিটেনের ওই পত্রিকাটি জানিয়েছে, আপাতত ওই পার্টি ও আরও কয়েকটি রাজ পরিবারের অনুষ্ঠান পালন করে জুন মাসে এক দিনের জন্য ‘মিনিমুন’ সারবেন হ্যারি-মেগান। সবুজে ঘেরা আয়ারল্যান্ডের কোনও এক নির্জন জায়গায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের।
জনপ্রিয় বিয়ে: একটি সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, হ্যারি-মেগানের বিয়ের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে চোখ রেখেছিলেন আমেরিকার দু’কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ। যা বেশ বড় ব্যাপার। কারণ ২০১১ সালে হ্যারির দাদা রাজকুমার উইলিয়াম ও কেটের বিয়েতে মার্কিন দর্শক ছিলেন দু’কোটি ২৮ লক্ষ আমেরিকাবাসী। এদিকে, ব্রিটেনের চ্যানেলগুলি এখনও বিয়ের ভিডিও, মেগানের পোশাকের ডিজাইনারের সাক্ষাৎকারই সম্প্রচার করে চলেছে। বিয়ের দু’দিন পরও।
The post বাড়ল আংটি বিক্রি, ‘রয়্যাল ওয়েডিং’ দেখে বিয়ের জ্বরে কাঁপছে ব্রিটেন appeared first on Sangbad Pratidin.