সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হিন্দুরা ধর্ষণ করে না,’ দাবি ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত রাধেশ্যামের।
দেশজুড়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন, বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণে অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্তরা দিব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে চারপাশে। এমনকী ১৫ আগস্ট চার সাজাপ্রাপ্তের মুক্তির পর থেকে বিলকিসের পরিবার আতঙ্কে থাকলেও স্বমেজাজে নিজেদের গ্রামে ফিরে কাজকর্মও শুরু করেছে তারা। এদেরই একজন রাধেশ্যাম শাহ দীপাবলির আগে একটি বাজির দোকান খুলেছে বিলকিসের বাড়ির উল্টোদিকে। এই রাধেশ্যামের বিরুদ্ধে বিলকিসকে ধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগ রয়েছে।
যদিও বিলকিসের পরিবার ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। তবে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো রাধেশ্যাম দাবি করেছে, “আমরা নিরপরাধ। কখনও কাকা-ভাইপোকে একসঙ্গে কারও সামনে ধর্ষণ করেছে বলে শুনেছেন? হিন্দুদের মধ্যে কি এমন হয়? না হিন্দুরা এমন করে না।” প্যারোলে মুক্তি পেয়েও এই অভিযুক্তরা সাক্ষ্য দেওয়া স্থানীয় মানুষজনদের হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তাদেরই ‘ভাল আচরণের’ জন্য আগেভাগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এদের মধ্যে একাধিকজন কাগজেকলমে মুক্তি পাওয়ার আগেই প্যারোলে প্রায় তিন বছর বাইরেই ছিল।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: ওমিক্রনের বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টের দাপট কমছে দেশে, স্বস্তি দৈনিক কোভিড গ্রাফেও]
আগেই বিলকিস বানোর ধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষীদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এবার ধর্ষকদের গ্রামে পৌঁছানোর খবর পেয়ে মহুয়া মন্তব্য করলেন, মোদি-শাহ সরকার বুনো জন্তুদের খোলা ছেড়ে দিয়েছে। ‘হিন্দুরা ধর্ষণ করে না,’ বিলকিস কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তের এমন মন্তব্যের পরেই টুইটারে গর্জে ওঠেন তৃণমূল নেত্রী। সাজাপ্রাপ্ত রাধেশ্যামের মন্তব্যটি তুলে ধরেন মহুয়া। এইসঙ্গে লেখেন, এই কথা বলেছে বিলকাস কাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনে সাজাপ্রাপ্ত। মোদি-শাহ সরকার বুনো জন্তুদের খোলা ছেড়ে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মহাকাশ গবেষণায় নয়া রেকর্ড, ৩৬ স্যাটেলাইট নিয়ে ISRO’র সবচেয়ে ভারী রকেটের সফল উৎক্ষেপণ]
প্রসঙ্গত, গুজরাট (Gujarat) সরকার বিলকিস বানোর ১১ ধর্ষককে মুক্তি দেওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ বিলকিসের স্বামী ইয়াকুব রসুল। এরমধ্যেই গতকাল প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, বিলকিস বানোর ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তরা ঘন ঘন প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিল। ছাড়া পেয়ে তারা সাক্ষীদের ভয় দেখাত বলেও অভিযোগ। এই অবস্থায় তাদের সাজা মকুবের বিষয়টি নিয়ে সর্বস্তরে আপত্তি উঠছে।