সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড (Jharkhand), পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), ওড়িশা, অসম ও বিহারের (Bihar) বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হল, যেন তাদের ধর্মকে ‘সরনা’ ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই দাবি জানিয়ে নয়াদিল্লিতে সরব হতে দেখা গেল আন্দোলনকারীদের। ইংরেজদের বিরুদ্ধে সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন। সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণে রেখেই শুরু হল এই আন্দোলনের।
ঠিক কী দাবি আন্দোলনকারীদের? এই প্রসঙ্গে আদিবাসী নেতা তথা বিজেপির দু’বারের সাংসদ সলখন মুর্মু বলছেন, ”আমরা আদিবাসীরা হিন্দুও নই, খ্রিস্টানও নই। আমাদের স্বকীয় জীবনযাত্রা, ধর্মীয় অনুশীলন, প্রথা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ভাবনাচিন্তা রয়েছে। যা অন্য সব ধর্মের থেকে আলাদা।” আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়েই এক ভিন্ন ধর্মের স্বীকৃতির আবেদন করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তিনদিন পরই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন একনাথ শিণ্ডে]
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় ঝাড়খণ্ডের ওই আদিবাসী নেতা জানিয়েছেন, ”আমরা এখানে আমাদের দাবি জানাতে এসেছি। আমাদের ধর্মকে সরনা ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এবং আগামী জনগণনায় আদিবাসীদের এই ধর্মবিশ্বাসী হিসেবে ধরতে হবে।”
তাঁরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হতে পারেন, একথাও বলেন ওই নেতা। তাঁর কথায়, ”আমরা দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে আমাদের আবেগের কথা জানাতে চাই। এবার সেই সঙ্গে আরজি জানাতে চাই আমাদের ধর্মকে সরনা ধর্ম হিসেবে মান্যতা দেওয়ার। কিন্তু এখনও তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাইনি। তবে পুলিশের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে এই বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছি আমরা।”
সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভারতে ১২ কোটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। তাঁদের তপসিলি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তাঁদের ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এবার সেই স্বীকৃতি পেতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই দাবি ওই নেতার।