স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম দফার মতোই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল নির্বাচন কমিশন (Election Comission)। এই দফায় ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ১০ হাজার ৬২০টি বুথে মোতায়েন থাকবে মোট ৬৫১ কোম্পানি আধা সেনা। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম বিধানসভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ২১ কোম্পানি আধাসেনা। সোমবার দ্বিতীয় দফায় বাঁকুড়া (Bankura), দুই মেদিনীপুর, এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। কোনওভাবেই প্রথম দফার পুনরাবৃত্তি চাইছে না নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে জেলাগুলিকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন সিইও (CEO)। ভোটের দুদিন আগে থেকেই সবরকম ব্যবস্থা সেরে রাখতে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই দফায় বাঁকুড়ায় মোতায়েন থাকবে ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পূর্ব মেদিনীপুরে রাখা হচ্ছে ১৯৯ কোম্পানি বাহিনী। পশ্চিম মেদিনীপুরে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকছে ২১০ কোম্পানি এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার আসন গুলির ভোটের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবে মোট ৭২ কোম্পানি আধাসেনা। এছাড়াও এই দফায় মোট ৭৫০টি সেক্টর থাকছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকরা দায়িত্বে থাকবেন। কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেখানে পৌঁছানোর জন্য সব মিলিয়ে ৬২৪টি কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। ছাড়াও হেভি রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াড-সহ, সর্বত্র নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: সৌজন্যের নজির, নন্দীগ্রামে ভোটের মুখে শুভেন্দুর প্রতি ‘মমতাময়ী’ তৃণমূল নেত্রী]
এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। শুধুমাত্র এই হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২১ কোম্পানি বাহিনী (Central Force)। ভোটের দিন বা তার আগে যাতে কোনরকম অশান্তি না ছাড়ায় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামে সব মিলিয়ে বুথের সংখ্যা ৩৪৭। ভোটের দিন সব মিলিয়ে শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে একুশটি কুইক রেসপন্স টিম টহল দেবে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপ সত্বেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি এড়ানো যায়নি। পাশাপাশি কোথাও কোথাও বাহিনী অতিসক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্বিতীয় দফায় যাতে তেমন কোনও পরিস্থিতির সম্মুখীন না হতে হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনগুলিকে।