সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রামে ভোটের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে কমিশনের নজরে তিন প্রার্থীর নিরাপত্তা। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা আগেই বাড়ানো হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই কমিশনের। শেষবেলায় এসে বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাও বাড়ানো হল। এখন থেকে মোট ৪ জন করে রাজ্য পুলিশের কর্মী থাকবেন মীনাক্ষীর নিরাপত্তার দায়িত্বে।
আসলে, প্রচারের শেষদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার মীনাক্ষীর মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তার আগেও বাম প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কমিশনের কাছে এই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের (Minakshi Mukherjee) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার দাবি করেছিল সিপিএম (CPM)। তাতে সাড়া দিল নির্বাচন কমিশন। বাড়ালো হল সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থীর সুরক্ষা। এতদিন তাঁর সঙ্গে থাকত একজন করে নিরাপত্তারক্ষী। এবার থেকে তাঁর সঙ্গে থাকবেন ৪ জন করে নিরাপত্তারক্ষী।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির বিরুদ্ধে একত্রিত হোন’, একযোগে ১৫ জন বিরোধী নেতাকে চিঠি মমতার]
এদিকে, ভোটের আগের দিনও নন্দীগ্রামে (Nandigram) বহিরাগতদের আসা-যাওয়া নিয়ে তরজা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন, শুভেন্দু নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের ঢোকাচ্ছেন। সেই অভিযোগে কমিশনে নালিশও করেছিল তৃণমূল। বুধবার আরও একবার তৃণমূলের তরফে কমিশনকে চিঠি দিয়ে সেই একই দাবি করা হল। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে ভোটে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ শাসক দলের। বহিরাগতরা জড়ো হয়েছেন, এমন সাতটি জায়গার নামও নিজেদের অভিযোগের সঙ্গে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, নন্দীগ্রামের ৭টি জায়গায় দুষ্কৃতীদের জড়ো করা হয়েছে। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কমিশনের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘মমতা জখম হলে নাটক, ওরা মার খেলে হামলা?’ বারাকপুরের অশান্তি নিয়ে বিজেপিকে তোপ মদনের]
বহিরাগত গুন্ডাদের আগমনের এই অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। কমিশনকে তোপ দেগে তিনি বললেন,”বিজেপির কথায় কমিশন চলবে? না নিরপেক্ষভাবে চলবে? কেন অন্য রাজ্যের গুন্ডারা এসে এখানে দাপাদাপি করছে? কমিশন কেন আটকাচ্ছে না? এত নিরুপায় কমিশনকে আগে দেখিনি। গুন্ডামিটাকে শান্তিপূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। গুণ্ডামি যে করছে, সে একদিন ঠিক বুঝবে এটা ওঁকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।” এই আলোচনা-পর্যালোচনার মধ্যেই শেষ মুহূর্তে ভোটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে নন্দীগ্রাম।