সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।’ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এটাই ছিল তৃণমূলের (TMC) স্লোগান। সেই সঙ্গে মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, মাসে ৫০০ টাকা করে অনুদানের মতো বিভিন্ন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি শাসকদল দিয়েছিল মূলত মহিলা ভোটারদের টার্গেট করে। তৃণমূলের সেই পরিকল্পনা যে সফল হয়েছে, তা মহিলা ভোটের হার দেখলেই স্পষ্ট।
সম্প্রতি বাংলার নির্বাচনের মহিলা এবং পুরুষদের ভোটের হার প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় বিধানসভা ভোটে ৮১.৭ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে সেটি ৮১.৪ শতাংশ। অর্থাৎ শতাংশের বিচারে পুরুষদের থেকে বেশি পড়েছে মহিলা ভোটারই। যা কিনা রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাসে বিরল ঘটনা। তবে, মোট ভোটার বেশি থাকায় ভোটের সংখ্যার নিরিখে মহিলাদের থেকে এগিয়ে ছিল পুরুষরা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৩.৫ কোটি মহিলা ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ২.৯ কোটি। ৩ কোটি ৭০ লক্ষ পুরুষ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৩ কোটি। অর্থাৎ মোট ভোটের বিচারে মহিলা এবং পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান। শুধু ভোটের নিরিখে নয়, ভোটে সাফল্যের নিরিখেও পুরুষ প্রার্থীদের টেক্কা দিয়েছেন মহিলারা। পুরুষ প্রার্থীদের মধ্যে সাফল্যের হার যেখানে ১৩.৪ শতাংশ, সেখানে মহিলা প্রার্থীদের সাফল্যের হার ১৬.৭ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া, ১০ দিনে জমা পড়ল প্রায় ২৬ হাজার আবেদনপত্র]
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২১-এ বাংলার নির্বাচনে ধর্ম, উন্নয়ন, বাঙালি-বহিরাগত যেমন ইস্যু ছিল, তেমনি মহিলা ভোটও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেকে ‘বাংলার মেয়ে’ হিসেবে তুলে ধরে অনেকাংশে বাংলার মা-বোনেদের মনে দাগ কাটতে পেরেছেন। তাছাড়া তৃণমূলের কন্যাশ্রী, রুপশ্রী এবং মাসিক অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি শাসকদল দিয়েছিল, সেটাও মহিলাদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যে কারণে, ব্যাপক হারে মহিলারা এবারে ভোট দিয়েছেন শাসকদলকে। ভোটকেন্দ্রে মহিলাদের উপস্থিতির আর অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি হওয়ার মূল কারণও সেটাই।