শুভঙ্কর বসু: দরকার হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Central Force) গুলি চালানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার নির্বাচন কমিশন সূত্রেই জানা যায়, দ্বিতীয় দফা ভোটে আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলা হয়েছে গুলি চালাতে। প্রথম দফার ভোটে পটাশপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ কমিশন। সাধারণত নিয়মানুসারে বাহিনী গুলি চালাতে পারে। যদিও ভোটে বাহিনীর গুলি চালানোর নজির খুব একটা পাওয়া যায় না। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় যাদবপুরের ১০১ নং ওয়ার্ডের কেন্দুয়া স্কুলের বুথে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক সিপিএম (CPM) কর্মীর। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে কমিশনের এই কড়া নির্দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রথম দফা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুর থানার আড়গোয়াল অঞ্চলের সাতশতমাল এলাকায় বিজেপি-তৃণমূলের (TMC) সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে বোমার আঘাতে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। বর্তমানে তিনি কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত। এই ঘটনা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ওই জওয়ানের শরীরের খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে (Vivek Dubey)। জানা গিয়েছে, জওয়ানের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে বিবেক দুবেকে বলতে শোনা যায়, ‘বেআইনি অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করছে তা জেনেও আপনি কেন এসওপি (SOP) অনুযায়ী আত্মরক্ষা করেননি?’
[আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১ কোটি ২০ লক্ষের গণ্ডি, একদিনে মৃত ২৯১]
এই ঘটনার পরই বাহিনীকে নির্দেশ, তাদের ওপর যদি আক্রমণ হয় সেক্ষেত্রে তারা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা (এসওপি) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ওই এসওপি-র বিস্তারিত ব্যাখ্যায় বলা আছে, বাহিনীর আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তাঁরা যদি আঘাতপ্রাপ্ত হন সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের কাছে থাকা অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। ফলে নির্বাচনের কাজেও বাহিনী যদি কোনভাবে আহত হয় তাহলে সেই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুযায়ীই এবার তারা কাজ করবে। অর্থাৎ বাহিনীর উপর যদি বোমা গুলি চলে সেক্ষেত্রে তারা এসওপি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আক্রমণের সময় কাছে বন্দুক থাকলে গুলিও চালাতে পারবে বাহিনী। কমিশনের (Election Commission) এই নির্দেশ রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।