বিক্রম রায়, কোচবিহার: বিজেপি (BJP) নেতার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দিনহাটা (Dinhata)। দফায় দফায় বিক্ষোভে শামিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ। এখনও উত্তপ্ত কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ও সংলগ্ন এলাকা।
বুধবার সকালে দিনহাটা শহর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি অমিত সরকারের (৫০) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি কার্যালয়ের লাগোয়া পশু চিকিৎসালয়ের বারান্দায় ওই ব্যক্তির দেহ দেখতে পান প্রাতঃভ্রমণকারীরা। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দলের নেতাকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যান দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দিনহাটা। শহরে ঢোকার কার্যত সব রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।দিনহাটায় তৃণমূলের মূল কার্যালয়ের বাইরে থাকা কাট আউট ভেঙে দেন তাঁরা। রাস্তায় একের পর এক জ্বালানো হয় টায়ার। বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে অ্যাডিশনাল এসপির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপি কর্মীরা ইটবর্ষণ করে। লাঠিচার্জও করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘নন্দীগ্রামের মানুষ আপনাকে সম্মান দিয়েছে আর আপনি বদনাম করছেন’, মমতাকে আক্রমণ মোদির]
দিনহাটা আসনের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক দাবি করেন, পরিকল্পনামাফিক তৃণমূল খুন করেছে অমিত সরকারকে। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে টুইট করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে দলের বিরুদ্ধ ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির যোগ রয়েছে বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, “আমি খবর পেয়েছি গতকাল রাতে নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন অমিতবাবু। সেখানে ওঁকে অপমান করা হয়েছিল। অনেক রাতে বাড়ি ফেরেন। তারপর একজন ডেকে নিয়ে যায় তাঁকে। এরপর উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ।” উদয়ন গুহর দাবি, এই ঘটনায় কোনওভাবেই তৃণমূলের হাত নেই। সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।