ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভঙ্কর বসু: ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখতে পারবে না নিরাপত্তারক্ষীরা। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটারদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখতে পারেন শুধু ফার্স্ট পোলিং অফিসার। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অভিযোগের ভিত্তিতে কড়াভাবে এই নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের নির্বাচনী নোডাল অফিসার একে সিং এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগ মোহনকে (Jag Mohon) এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
আসলে গতকালই তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষস্তরীয় প্রতিনিধিদল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে আসে।তৃণমূলের অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। বহু জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আসছে। এই প্রথম ভারতবর্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে (BJP) সহযোগিতা করছে। যেখানে বিজেপি জোর করে ভোট করার চেষ্টা করছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নীরব। রাজ্যের শাসক শিবিরের দাবি, যেসব কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের যেন পরবর্তীকালে ভোটের কাজে মোতায়েন করা না হয়।
[আরও পড়ুন: ভোটের আবহে বিপত্তি, করোনায় আক্রান্ত তপনের তৃণমূল প্রার্থী কল্পনা কিস্কু]
তৃণমূলের প্রতিনিধিদল এই দাবি জানিয়ে আসার পরই রাজ্যের নোডাল অফিসার একে সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিশনের আধিকারিকরা। তৃণমূলের দাবি পুরোপুরি না মানা হলেও, নোডাল অফিসারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ভোটের লাইনে ভোটারদের পরিচয়পত্রের তথ্য খতিয়ে দেখতে পারেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। ভোটারদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখবেন ফার্স্ট পোলিং অফিসার। তবে, নিরাপত্তার স্বার্থে যারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কাছে কোনও পরিচয়পত্র আছে কিনা, সেটা দূর থেকে খতিয়ে দেখতে পারে নিরাপত্তা বাহিনী। তাছাড়া, নিরাপত্তাবাহিনী যে প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই বুথের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়। নোডাল অফিসারের পাশাপাশি রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা যগ মোহনকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।