সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনোনয়ন পেশের দিনই নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার জখম হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এখনও পায়ে প্লাস্টার। হাঁটতে পারছেন না। ফলে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন মমতা। পাঁশকুড়ার সভা থেকে নিজের কষ্টের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি।
১০ মার্চ হলদিয়া প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন পেশ করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী (TMC candidate) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একাধিক মন্দিরে যান তিনি। সন্ধেয় বিরুলিয়া বাজার এলাকায় জখম হন মমতা। পায়ে গুরুতর চোট লাগে তাঁর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতা। দেড়দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। চিকিৎসরা আরও ২ দিন পর্যবেক্ষণে থাকার কথা বললেও হুইলচেয়ারে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। ৭ দিন চিকিৎসকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও এখনও প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন ২ থেকে তিনটি জনসভা করছেন। হুইলচেয়ারে বসেই বক্তৃতা দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু এভাবে জনসভায় যোগ দিয়ে মানসিকভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন বলেই জানালেন তিনি। পাঁশকুড়ার সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, “আমি পায়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছি। এখনও পা ফেলতে পারছি না। চিকিৎসকরা বারণ করেছিলেন এখন বের হতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি পথে নেমেছি। আমার নিরাপত্তায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সাহায্যে আপনাদের সামনে আসছি। কিন্তু এভাবে মাথা কাজ করে না। হাঁটতে না পারলে কর্মশক্তি বাড়ে না। ফলে আমি কতটা মানসিক কষ্টে রয়েছি একবার ভাবুন।”
[আরও পড়ুন: করোনাতঙ্কে আবির তৈরি বন্ধ থাকায় সংকটে শ্রমিকরা, ফুলবাড়িতে ফিকে ভোট উৎসবের রং]
এদিন পাঁশকুড়ার সভা থেকে বিজেপিকেও (BJP) তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট লুটের আশঙ্কা করে এদিন ফের নেতা কর্মীদের পরামর্শ দেন, যাঁরা ভোট বাক্সের দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরা যেন কেউ কিছু খাবার দিলে তা না খান। পাশাপাশি, বিজেপির বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমকে প্রভাবিত করার অভিযোগও করেন তিনি। তবে এভাবে বাংলাকে দখল করা যাবে না বলেই মন্তব্য করেন মমতা। তিনি আত্মবিশ্বাসী, ফের তৃণমূলই বাংলার দায়িত্ব পাবে।