সম্যক খান, মেদিনীপুর: ভোটের মুখেও তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। গতকালও বেশ কয়েকজন দাপুটে নেতা-নেত্রী ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে (BJP)। যা নিয়ে নানারকম নেতিবাচক মন্তব্য করছেন শাসকদলের নেতারা। কেউ কেউ দাবি করছেন, তৃণমূলের ‘পচা নেতা’রা যাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। তবে মেদিনীপুর থেকে দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিলেন, শাসকদলের এহেন মন্তব্যে বিন্দুমাত্রও তোয়াক্কা করছেন না তাঁরা। বিজেপি সাংসদের দাবি, যোগ্য লোকদেরই নেওয়া হচ্ছে বিজেপিতে। এদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, “উনি যেখানেই দাঁড়ান, হার নিশ্চিত।”
ভোট (West Bengal Assembly Election) শিয়রে। চলতি মাসের শেষেই প্রথম দফার নির্বাচন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশ করলেন মেদিনীপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী শমিত দাস। একাধিক কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি প্রার্থীদের সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিনও আত্মবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতির চেহারায়। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, একুশে পরিবর্তন হবেই। তৃণমূল নেতাদের লাগাতার বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক? তৃণমূলের মতো বেনোজল ঢুকছে না তো? এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির একটা আদর্শ রয়েছে। এখানে যোগ্য লোকদের নেওয়া হচ্ছে। সিদ্ধান্ত সঠিক বা ভুলের কোনও বিষয় নেই।”
[আরও পড়ুন: কর্তব্যপরায়ণতা! মোদির ব্রিগেড থেকে হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধকে বাড়ি পৌঁছে দিলেন তৃণমূলের কর্মীরা]
এদিকে প্রাক্তন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা কতটা ভরসাযোগ্য? ভোট মিটলে ফের দলবদল করবেন না তো তাঁরা? এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “তিনটে নদী যদি গঙ্গায় এসে মেলে, তা গঙ্গায় পরিণত হয়। আমাদের পাশে থেকে অপশাসন দূর করতে সকলে বিজেপিতে এসেছেন। আমাদের হাত শক্ত করছেন, এখানে ভরসা না করার কোনও কারণ নেই। যাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়তে চেয়েছেন আমরা গ্রহণ করেছি।”